দেশি মোটরবাইক উৎপাদনকে উৎসাহী করতে রাজধানীতে ১৪তম মোটর শো উদ্বোধন
স্বপ্না চক্রবর্তী : দেশীয় মোটরবাইকের উৎপাদনকে উৎসাহিত এবং আমদানি নির্ভরতা কমাতে আন্তর্জাতিক আয়োজক সংস্থা সেমস গেøাবাল আয়োজন করেছে ১৪তম ঢাকা মোটর শো-২০১৯।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টারে এর উদ্বোধন করেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ। মোটর শো ছাড়াও এসময় আরও উদ্বোধন করা হয় ‘৫ম ঢাকা বাইক শো-২০১৯’, ‘৪র্থ ঢাকা অটোপার্টস শো ২০১৯’ এবং ‘৩য় ঢাকা কমার্শিয়াল অটোমোটিভ শো ২০১৯’। এ সময় শিল্পমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এখন আর তলাবিহীন ঝুড়ি না। বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশ আজ মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি শিল্পোন্নত দেশ হিসেবেও পরিচয় লাভ করেছি আমরা। আমাদের পোশাক আজ বিশ্বের অন্যতম রপ্তানিযোগ্য পণ্য। তিনি বলেন, অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতে অটোমোবাইল আমদানির পাশাপাশি দেশেই এখন নিজস্ব ব্র্যান্ডের মোটরবাইক তৈরি হচ্ছে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিকভাবে খ্যাত ব্র্যান্ডগুলোর প্রাইভেটকার, বাস ও ট্রাক সংযোজন হচ্ছে। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি বিদেশি উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে মোটরসাইকেল ম্যানুফ্যাকচারিং শুরু করেছে। শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রতিষ্ঠান বিএসইসি’র সাথে যৌথ অংশদারিত্বে জাপানের হোন্ডা ব্র্যান্ডের মোটর সাইকেল বাংলাদেশেই ম্যানুফ্যাকচারিং হচ্ছে। ফলে, দেশে মোটরসাইকেলের দাম প্রায় ৫০ শতাংশ কমে এসেছে। বাজার সাফল্য বিবেচনা করে আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান মোটরসাইকেল ম্যানুফ্যাকচারিং শুরু করতে যাচ্ছে। এর ফলে আগামী পাঁচ বছরে মোটর সাইকেলের চাহিদা বার্ষিক শতকরা ৩৫ ভাগ হারে বাড়বে বলে আমরা আশা করছি।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, আরইএল মোটরস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রিয়াদ হাসনাইন, এনার্জি প্যাক পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেডের ডিরেক্টর এনামুল হক চৌধুরী, কর্ণফুলী গ্রæপ এবং সেমস্ গেøাবাল এর প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড গ্রæপ ম্যানেজিং ডিরেক্টর মেহেরুন এন. ইসলাম।
আয়োজকরা জানান, তিন দিনব্যাপী এ বহুমাত্রিক প্রদর্শনীতে বিশ্বের ১৬টি দেশের আড়াই শতাধিক প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করছে। ঢাকা মোটর শো বাংলাদেশের অটোমোটিভ শিল্পের একমাত্র আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী। এ প্রদর্শনী নতুন যানবাহন ও দ্রæত বর্ধনশীল অটোমোটিভ বাজার বৃদ্ধির জন্য একটি চমৎকার প্ল্যাটফর্ম এবং বাংলাদেশে অটো শিল্পের ব্যবসার জন্য গত ১৩ বছর যাবৎ এক নতুন মাইলফলক হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে। এ বছরের প্রদর্শনীতে রয়েছে ব্র্যান্ড নিউ মোটর বাইক, স্কুটারস এবং নতুন গাড়ি, স্পোর্টস ইউটিলিটি যানবাহন, মাল্টি ইউটিলিটি যানবাহন, বাণিজ্যিক যানবাহন, বাস, ট্রাক, থ্রি হুইলার, বিকল্প শক্তি চালিত যানবাহন ইত্যাদি। এছাড়া, প্রদর্শনীতে রয়েছে স্বয়ংচালিত সামগ্রী, খুচরা যন্ত্রাংশ, গ্যারেজ সরঞ্জাম, আনুষঙ্গিক, বীমা পণ্য ও পরিসেবা, অটোফাইন্যান্স অ্যান্ড লিজিং, অটো ইন্ডাস্ট্রি, আইটি ও লুব্রিকেন্টস, সিএনজি কিট, টায়ার ও হুইল, অটো ইলেকট্রনিক্স, কোচ বিল্ডার এবং নিত্য নতুন প্রযুক্তির বিপুল সমাহার। এছাড়া, বাংলাদেশের অনেক স্বনামধন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান প্র্রদর্শনীতে বিভিন্ন ধরণের অটোমোবাইল ঋণের আকর্ষণীয় অফার নিয়ে অংশগ্রহণ করবে যা ক্রেতা সকলের জন্য বিশেষ আকর্ষণ সৃষ্টি করবে। প্রদর্শনীটি দর্শক, ক্রেতা, ব্যবসায়ী, আমদানিকারক ও সরবরাহকারীদের মধ্যে কার্যকর সেতুবন্ধনে একটি সময়োপযোগী প্লাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে। সম্পাদনা : আনিস রহমান