আমিনবাজারে বিআইডবিøউটিএর উচ্ছেদ অভিযান, কয়েক কোটি টাকার কয়লা নিলামে বিক্রি
সুজন কৈরী ও এম.এ.হালিম : অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের ১৮তম দিনে গতকাল বৃহস্পতিবার সাভারের বড়বরদেশি মৌজা, গাবতলী ও আমিনবাজার এলাকায় তুরাগ নদীর উভয় তীরে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে বিআইডবিøউটিএ। অভিযানকালে ৫৫টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবআর সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এ অভিযান চালানো হয়। এ নিয়ে মোট ২হাজার ২৬টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। সেইসঙ্গে বাজেয়াপ্ত স্থাপনা নিলামে তুলে ভ্যাট ও আয়করসহ ৩১ লাখ ৩৮ হাজার টাকা আদায় করা হয়েছে। বিআইডবিøউটিএর যুগ্ম-পরিচালক একে এম আরিফ উদ্দিন বলেন, বুড়িগঙ্গা ও তুরাগে চলমান অভিযানের ২য় পর্বের ২য় পর্যায়ের শেষ দিন বুহস্পতিবার ২০টি পাকা বাউন্ডারী দেয়াল, ১৫টি বাঁশের জেটি ও ২০টি টিনের ঘর উচ্ছেদ করা হয়েছে। এছাড়া কয়েকটি হাউজিং কোম্পানির সীমানা পিলার গুড়িয়ে দেয়াসহ কয়েকটি কয়লা এবং বালুর গদি উচ্ছেদ করা হয়েছে। ভেঙে দেয়া হয়েছে হাউজিংগুলোর জমি ভরাটের কাজে ব্যবহার হওয়া অবৈধ ড্রেজিং পাইপও। নদীর ওয়াকওয়ের জায়গায় রাখা অবৈধ কয়লা বাজেয়াপ্ত করে নিলামে বিক্রি করে দিয়েছে সংস্থাটি। রাজ গ্রæপ নামক ওই প্রতিষ্ঠানের কয়লার গদি ২৫ লাখ টাকায় নিলাম করা হয়েছে। তিনি বলেন, ঢাকা শহরের চারদিকের নদীগুলোতে যে দখল এবং দূষণের মহোৎসব চলছে প্রকৃতপক্ষে নদীগুলোকে দখল-দূষণ মুক্ত করাই এ চলমান অভিযানের মূল লক্ষ্য। এ অভিযানের মাধ্যমে নদীর জমি নদীকে ফিরিয়ে দেয়া এবং নদীর গতিপ্রবাহ ফিরিয়ে আনা হবে। আগামী এপ্রিলের মধ্যে ঢাকার পাশর্^বর্তী চারটি নদীর দখলদারদেরকে উচ্ছেদ করা হবে।
আরিফ উদ্দিন বলেন, গত ২৯ জানুয়ারি থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মোট ১৮ কার্যদিবসে দুই হাজার ২৬টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। অবমুক্ত করা হয়েছে ৫২একর জায়গা। নিলাম করা হয়েছে ভ্যাট ও আয়করসহ ৩১ লাখ ৩৮হাজার টাকা। আগামী ১৯ মার্চ মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে থেকে তুরাগ নদীর গাবতলী-আমিনবাজার থেকে আপষ্ট্রীমে পরপর ৩ দিন ২য় পর্বের ৩য় পর্যায়ের অভিযান চালানো হবে। সম্পাদনা : আনিস রহমান