রাজধানীতে নতুন বাস নামার আগেইট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় ব্যাপক পরিবর্তন
সুজিৎ নন্দী : রাজধানীতে গণপরিবহনে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে কোম্পানির নতুন বাস নামার আগেই পুরো ট্রাফিক ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনা হচ্ছে। প্রায় ৯০টি সড়কে মোড়ের মধ্যে সবকটিতে ইন্টারসেকশনকে রিমোট কন্ট্রোলে অটোমেটিক বৈদ্যুতিক সিগন্যাল থাকছে। দুই সিটি করপোরেশনের পরীক্ষামূলক ভাবে ১০টি পয়েন্টে কাজ শুরু হয়েছে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন সূত্র জানায়, রিমোট কন্ট্রোল ব্যবস্থায় ট্রাফিক পুলিশ বক্স থেকে নিয়ন্ত্রণ করবে। কোম্পানির নতুন বাস চালকদের ট্রাফিক সিগনাল মানার জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।
জানা যায়, এর মধ্যে বাংলামোটর, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়, শাহবাগ, মৎস্য ভবন মোড়, কার্জন হলের সামনে, কদম ফোয়ারা ও কাকরাইল মসজিদের সামনের মোড় অন্যতম। দক্ষ প্রকৌশলী টিম এটি নিয়ন্ত্রণ করবে। তবে মেট্রোপলিটন পুলিশ ও দুই সিটি করপোরেশনের নির্মল বায়ু ও টেকসই পরিবেশ (কেইস) প্রকল্প ও ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ এটির সঙ্গে যুক্ত থাকবে।
নগরীর যেসব স্থানে স্বয়ংক্রিয় ট্রাফিক সিগন্যাল চালু হয়েছে সেগুলো হচ্ছে ঐ সাতটি ট্রাফিক পয়েন্ট ছাড়াও রাজারবাগ, ফকিরাপুল, গুলিস্তান, দৈনিক বাংলা, পল্টন, কাকরাইল, নাইটিঙ্গেল মোড়, বেইলি রোড, ধানমন্ডি ২৭, রাসেল স্কয়ার, ধানমন্ডি ১০ ও ধানমন্ডি ৭। তবে উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় সিগন্যাল বাতি মেরামত করা হয়নি। প্রশাসনিক জটিলতার কারণে কাজটি আটকে আছে বলে জানা গেছে। তবে নতুন মেয়র আতিকুল ইসলাম ট্রাফিক ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনবেন বলে এ প্রতিবেককে জানান।
প্রাথমিক পর্যায়ে সফলতা এলে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে এ কার্যক্রম। পর্যায়ক্রমে বাকি সব ইন্টারসেকশনে রিমোর্ট কন্ট্রোল অটোমেটিক বৈদ্যুতিক সিগন্যাল ব্যবস্থাপনা চালু করা হবে। নগর পরিকল্পনাবিদ ও কেইস প্রকল্পের একাধিক সূত্র জানায়, অটো সিগন্যালিংয়ের মাধ্যমে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের জন্য ট্রাফিক পুলিশের হাতে রিমোট হস্তান্তর হবে। প্রতিটি ইন্টারসেকশনের জন্য থাকছে দুটি রিমোট। কয়েকটি যন্ত্রও পরিবর্তন করতে হবে। দীর্ঘদিন ধরে অকেজো অবস্থায় পড়ে থাকা সিগন্যাল বাতিগুলো মেরামত করে যানবাহন চালানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। কিছুদিনের মধ্যে রিমোট কন্ট্রোলের আওতায় আসবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগে এই ইউনিট পরিচালনার জন্য কারিগরি দক্ষতাসম্পন্ন লোকবল রয়েছে। প্রস্তাবে বলা হয়, এই ইউনিটের আর্থিক খাতের ব্যয় আপাতত বহন করা হবে পুলিশ অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্টখাত থেকে। সম্পাদনা : রেজাউল আহসান