নিয়ম মানছে না বাস মালিকরাচুক্তিতেই চলছে গণপরিবহন
মাসুদ আলম : চুক্তির বদলে দৈনিক বেতনে বাস চালানোর সিন্ধান্ত নিলেও তা এখনো কার্যকর হয়নি। রাজধানীর অধিকাংশ বাস এখনো চুক্তিতে বা ট্রিপ ভিত্তিতে চলছে। গত বছরের গত ৮ আগস্ট এক সংবাদ সম্মেলনে মালিক সমিতি ঘোষণা দেয়, ৯ আগস্ট থেকে চুক্তিতে গাড়ি চালানো হবে না। সেই সিদ্ধান্ত এখনো পুরোপুরি বাস্তবায়ন হয়নি। অতিরিক্ত লাভের আশায় বেপরোয়া বাস চালকরা। এর ফলে ঘটছে দুর্ঘটনা। সরকারের পক্ষ থেকে সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে যেসব নিদের্শনা দেয়া হয়েছে তার অধিকাশংই মানছে না বাস মালিকরা।
জানা গেছে, যেসব বাস সিটিং হিসেবে চলছে, কেবল সেগুলোর চালক-শ্রমিকরা ট্রিপ হিসেবে বেতন পাচ্ছেন। আর যেসব বাস লোকাল হিসেবে চলছে, সেগুলো আগের মতোই নির্ধারিত জমা বা বাস মালিকের সঙ্গে অলিখিক চুক্তিভিত্তিতে চলছে। এতে চালকদের ওপর চাপ বাড়ে। ফলে বন্ধ হচ্ছে না বেপরোয়া বাস চালানো। এলাইক পরিবহনের চালক অলিউল্লা সুমন বলেন, এখনো চুক্তিতে চলছে অধিকাংশ গণপরিবহন। এতে চালকের মাথার ওপর বেশি চাপ থাকে। জমার টাকা, সড়কের বিভিন্ন চাঁদা, জ্বালানি খরচ ও স্টাফদের খরচ সবই বহন করতে হয় চালকদের। বেতনের আওতায় হলে চালক ওপর কোনো চাপ থাকে না। সে স্বাভাবিক ভাবে গাড়ি চালাতে পারে।
যাত্রীদের দাবি, চুক্তিতে বাস চালানোর কারণে অধিক ট্রিপের আশায় চালকরা বেপরোয়া হয়ে উঠেন। চালক ও হেলপারদের বেতনের আওতায় আনা হলে যাত্রী তোলার অসুস্থ প্রতিযোগিতা থাকবে না। বাস মালিক ও চালকরা সচেতন হলে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরবে। পাশাপাশি পথচারিদেরও সচেতন হতে হবে। শুধু চালকদের মামলা ও জরিমানা করলেই চালকরা সচেতন হবে না।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির দফতর সম্পাদক সামদানী খন্দকার বলেন, ৯৫ শতাংশ বাস এখন বেতন ভিত্তিক চলে। বাকি ৫ শতাংশও বেতনে আওতায় আনা হবে। সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে আমরা তৎপর রয়েছি।
পরিবহন বিশেষজ্ঞকরা বলছেন, চালক ও হেলপারদের বেতনের আওতায় আনা হলে তাদের মাথার ওপর থেকে চাপ কমে আসবে। পাশাপাশি একই করিডোরের একটি কোম্পানির বাস চালাচল করলে চালকদের মধ্যে প্রতিযোগিতা থাকবে না।
ডিএমপি কমিশনার বলেছিলেন, যাত্রীদের জন্য শতভাগ টিকেটের ব্যবস্থা করতে হবে। চালকদের চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগ দেয়া যাবে না, তাদের বেতনভুক্ত করতে হবে। চালকদের চাকরির নিয়োগপত্র দিতে হবে। সম্পাদনা : রেজাউল আহসান