মন্দা বছরেও আম উৎপাদন হবে ১৯ লাখ টন, চমক থাকবে লেট ভ্যারাইটিতে
মতিনুজ্জামান মিটু : ২. গত বছর দেশে আমের উৎপাদন হয়েছিল ১৮ লাখ ৯০ হাজার মেট্রিক টন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বছরব্যাপী ফল উৎপাদনের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক কৃষিবিদ ড. মেহেদী মাসুদ বললেন, এবার ২ লাখ ১০ হাজার হেক্টর জমিতে আম উৎপাদন হতে পারে ১৯ লাখ মেট্রিক টন। রেগুলার জাতের কারণে এখন আর অফ ইয়ারে আমের ফলনের তারতম্য লক্ষ্য করা যায় না। অফ ইয়ারে আমের উৎপাদন ১ থেকে ২ লাখ টন কম হয়ে থাকে। ১০ থেকে ১৫ বছর আগে এই তারতম্য চোখে পড়ত।
৩. অফ ইয়ারে ল্যাংড়া, গোপালভোগ ও ফজলি আমের উৎপাদন কম হয়ে থাকে। রেগুলার জাতের আমে অফ ইয়ার বলতে কিছু নেই। এ জাতের গাছে প্রতিবছরই আম উৎপাদন হয়ে থাকে। অফ ইয়ারে ল্যাংড়া, গোপালভোগ ও ফজলি আমের গাছে কোনো ফুল ও ফল আসে না। রেগুলার জাতের গাছের মধ্যে রয়েছে জনপ্রিয় আম খিরসাপাত, লক্ষণভোগ, আম্রপালি, বারি আম; খাটো জাতের আম, আশ্বিনা, সূর্যপুরি, পাহাড়ি আম রাঙ্গুইন প্রভৃতি।
৪. কুয়াশায় আমের মুকুলের বোল বা ফুলের কিছুটা ক্ষতির আশংকা থাকে। তবে পানির সঙ্গে ফান্টিসাইড বা সকালে শুধু পানি স্প্রে করলেও কুয়াশার ক্ষতি রোধ করা যায়। এখনকার কুয়াশায় এবার দেশে আমের কোনও ক্ষতি হবে না। ইতোমধ্যে দেশে আমের মুকুলে ফল এসেছে। ফল আসার পরের কুয়াশা আমের ফলনে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে না। ড. মেহেদী মাসুদ বললেন, কুয়াশাসহ বৈরী আবহাওয়া এবং নানাবিধ কারণে কিছুটা ক্ষতি হলেও দেশে নতুন নতুন বাগান গড়ে ওঠায় তা পুষিয়ে যাবে।
৫. পুষ্টিপ্রাপ্ত ফল চাষি নাটোরের সেলিম রেজা বললেন, বৃষ্টি ও কুয়াশাসহ বৈরী আবহাওয়ায় এবার আমের ফলনের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ার আশংকা ছিল। তবে সঠিক পরিচর্যায় তা কাটিয়ে ওঠা গেছে। একটি মুকুলে এক থেকে ৬ হাজার আম আসার সুযোগ থাকে। তবে বৈরী আবহাওয়া ও নানা কারণে তা হয় না। ২০ দিন ধরে মুকুলে ফুল ধরে। এসময় বৃষ্টি, কুয়াশা ইত্যাদিতে ফুল বা বোল ঝরে যায়। তবে সঠিক পরিচর্যায় এই মুকুলের দু’একটি বোল বা ফুলে আমের গুটি ধরে রাখা যায়। পরিস্থিতি যত বৈরী হোক না কেন এ বছর দেশের বাজারে তাইওয়ান গ্রীন ওভারওয়েট, গৌরমতি, কাঁচামিঠাসহ নতুন নতুন লেট ভ্যারাইটি বা নাবি জাতের আমের চমক থাকবে।অফ ইয়ার হলেও আম হবে ১৯ লাখ টন, চমক থাকবে লেট ভ্যারাইটিতে
মতিনুজ্জামান মিটু : ২. গত বছর দেশে আমের উৎপাদন হয়েছিল ১৮ লাখ ৯০ হাজার মেট্রিক টন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বছরব্যাপী ফল উৎপাদনের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক কৃষিবিদ ড. মেহেদী মাসুদ বললেন, এবার ২ লাখ ১০ হাজার হেক্টর জমিতে আম উৎপাদন হতে পারে ১৯ লাখ মেট্রিক টন। রেগুলার জাতের কারণে এখন আর অফ ইয়ারে আমের ফলনের তারতম্য লক্ষ্য করা যায় না। অফ ইয়ারে আমের উৎপাদন ১ থেকে ২ লাখ টন কম হয়ে থাকে। ১০ থেকে ১৫ বছর আগে এই তারতম্য চোখে পড়ত।
৩. অফ ইয়ারে ল্যাংড়া, গোপালভোগ ও ফজলি আমের উৎপাদন কম হয়ে থাকে। রেগুলার জাতের আমে অফ ইয়ার বলতে কিছু নেই। এ জাতের গাছে প্রতিবছরই আম উৎপাদন হয়ে থাকে। অফ ইয়ারে ল্যাংড়া, গোপালভোগ ও ফজলি আমের গাছে কোনো ফুল ও ফল আসে না। রেগুলার জাতের গাছের মধ্যে রয়েছে জনপ্রিয় আম খিরসাপাত, লক্ষণভোগ, আম্রপালি, বারি আম; খাটো জাতের আম, আশ্বিনা, সূর্যপুরি, পাহাড়ি আম রাঙ্গুইন প্রভৃতি।
৪. কুয়াশায় আমের মুকুলের বোল বা ফুলের কিছুটা ক্ষতির আশংকা থাকে। তবে পানির সঙ্গে ফান্টিসাইড বা সকালে শুধু পানি স্প্রে করলেও কুয়াশার ক্ষতি রোধ করা যায়। এখনকার কুয়াশায় এবার দেশে আমের কোনও ক্ষতি হবে না। ইতোমধ্যে দেশে আমের মুকুলে ফল এসেছে। ফল আসার পরের কুয়াশা আমের ফলনে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে না। ড. মেহেদী মাসুদ বললেন, কুয়াশাসহ বৈরী আবহাওয়া এবং নানাবিধ কারণে কিছুটা ক্ষতি হলেও দেশে নতুন নতুন বাগান গড়ে ওঠায় তা পুষিয়ে যাবে।
৫. পুষ্টিপ্রাপ্ত ফল চাষি নাটোরের সেলিম রেজা বললেন, বৃষ্টি ও কুয়াশাসহ বৈরী আবহাওয়ায় এবার আমের ফলনের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ার আশংকা ছিল। তবে সঠিক পরিচর্যায় তা কাটিয়ে ওঠা গেছে। একটি মুকুলে এক থেকে ৬ হাজার আম আসার সুযোগ থাকে। তবে বৈরী আবহাওয়া ও নানা কারণে তা হয় না। ২০ দিন ধরে মুকুলে ফুল ধরে। এসময় বৃষ্টি, কুয়াশা ইত্যাদিতে ফুল বা বোল ঝরে যায়। তবে সঠিক পরিচর্যায় এই মুকুলের দু’একটি বোল বা ফুলে আমের গুটি ধরে রাখা যায়। পরিস্থিতি যত বৈরী হোক না কেন এ বছর দেশের বাজারে তাইওয়ান গ্রীন ওভারওয়েট, গৌরমতি, কাঁচামিঠাসহ নতুন নতুন লেট ভ্যারাইটি বা নাবি জাতের আমের চমক থাকবে।