বুড়িগঙ্গা ও তুরাগ তীরের ২২১৬ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, ১৮ মার্চ সীমানা পিলার স্থাপনের দরপত্র
তরিকুল সুমন : ২) বুড়িগঙ্গা ও তুরাগ নদীর তীরে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) ১৮ দিনের উচ্ছেদ অভিযানে উল্লেখিত সংখ্যক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের পাশাপাশি প্রায় ৫২ একর জমি উদ্ধার করা হয়েছে। এসময়ে কয়লা, পাথর ও বালি নিলামের মাধ্যমে ৩১ লাখ ৩৮ হাজার টাকা আয় করেছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানাগেছে।
৩) অপরদিকে নদীর তীরে ওয়াক ওয়ে এবং সীমানা পিলার স্থাপন শীর্ষক প্রকল্পে উপপরিচালক এএসএম আশরাফুজ্জামান এই প্রতিবেদককে জানান, ইতোমধ্যে ঢাকা নদীবন্দর উচ্ছেদকৃত অংশের আমিন মোমিন হাউজিং অংশে এবং কামরাঙ্গীর চরের খোলামোরা এলাকায় নদী প্রায় ২০ ফুট প্রশস্ত করা হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন উচ্ছেদ কৃত জায়গায় প্রকল্পভুক্ত এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করে সাইনবোর্ড ও ব্যনার লাগানো হয়েছে। এসব জায়গায় যাতে করে নতুন ভাবে স্থাপনা গড়ে উঠতে না পারে এজন্য আগামী ১৮ মার্চ সীমানা পিলার স্থাপনের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হবে। তিনি আশা করেন আগামী ৩ মাসের মধ্যেই সীমানা পিলার স্থাপনের কাজ শুরু করা সম্ভব হবে।
৪) উচ্ছেদ প্রসঙ্গে বিআইডব্লিউটিএর যুগ্ম পরিচালক এবং ঢাকা নদী বন্দরের দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা এ কে এম আরিফ উদ্দিন জানান, মঙ্গলবার এ অভিযান আবারো শুরু হবে। এদিন সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত এ অভিযান চলবে। এ উচ্ছেদ অভিযান বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর এম মাহবুব-উল ইসলাম মনিটরিং করবেন। পরিচালক ( বন্দর) মো: শফিকুল হক, এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. মনিরুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন। উচ্ছেদ অভিযানে নেতৃত্ব দেবেন বিআইডব্লিউটিএর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমান এবং দ্বীপ্তিময়ী জামান।
তিনি আরো বলেন, ১৯-২০ মার্চ সিলিকন সিটি থেকে মধু সিটি হাউজিং, ২১ ও ২৫ মার্চ গাবতলী ব্রীজ থেকে নবাবেরবাগ (আলকাছের বালি গদি), ২৭ ও২৮ মার্চ নবাবের বাগ থেকে আশুলিয়া ল্যন্ডিং স্টেশন পর্যন্ত এ উচ্ছেদ চলবে।
৫) এএসএম আশরাফুজ্জামান আরো জানান, ওয়াকওয়েসহ বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ প্রকল্পের মাধ্যমে প্রথম পর্যায়ে ২০ কিলোমিটারের কাজ শেষ হয়েছে। এখন দ্বিতীয় পর্যায়ে প্রকল্পের ৫২ কিমি. ওয়াকওয়ের নির্মাণ কাজ করা হবে। পরামর্শক প্রতিষ্ঠান প্রয়োজনীয় গাইডলাইন এবং নকশা তৈরির কাজ করছে। এছাড়াও উচ্ছেদকৃত তীর রক্ষায় ১১ কিলোমিটার জায়গা উচ্চুকরা, প্রায় ২ কিলোমিটার জায়গা পাইলিং করে খাড়াভাবে, নদীর সীমানা চিহ্নিত করার লক্ষ্যে ১০ হাজার ৮২০টি টেকসই সীমানা পিলার ৬০-৮০ ফিট গভীর পাইলিং করে স্থাপন হবে। চার নদীর দখলমুক্ত অংশের সৌন্দর্যবর্ধনে পথচারীদের বসার জন্য বেঞ্চ, বিনোদন কেন্দ্র এবং বৃক্ষরোপণ, পণ্য পরিবহণের জন্য ১৯টি আরসিসি জেটি, তিনটি ইকোপার্ক নির্মাণ (আশুলিয়া, সিন্নিরটেক এবং টঙ্গী) হবে। এজন্য সরকারের ব্যয় হবে ৮৪৮ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। চার বছর মেয়াদী এ প্রকল্পের মেয়াদ ২০২২ সালের জুনে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। সম্পাদনা : ইকবাল খান