পাকিস্তানের শীর্ষ ধনী ক্রিকেটার ও তাদের বার্ষিক আয়
শিউলী আক্তার : পাকিস্তান ক্রিকেটের শীর্ষ দশ ক্রিকেটাররে আয় এবং তাদের ব্যাংক ব্যালেন্স নিয়ে আজকের আয়োজন……
১০. উমর গুল : পাকিস্তানি পেসার উমর গুল আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী। আন্তজাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়ে এই ক্রিকেটার পাকিস্তান সুপার লিগে খেলেন। তার বার্ষিক আয় দুই মিলিয়ন ডলার যা বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ১৮ কোটি ৫০ লাখ।
৯. উমর আকমল : উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান উমর আকমল ২০০৯ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শুরু করেন। তিনি পাকিস্তানের আরেক ক্রিকেটার কামরান আকমলের ভাই। পাকিস্তানের শীর্ষ দশ ধনীর মধ্যে তার অবস্থান নবম। তার বার্ষিক আয় ৪.৬ মিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশী মুদ্রায় ৩৮ কোটি ৬৭ লাখ টাকা।
৮. ফাওয়াদ আলম : পাকিস্তানের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে মাত্র ১৭ বছর বয়সে অভিষেক ঘটিয়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেন ফাওয়াদ আলম। তিনি পাকিস্তান কাস্টমস ও করাচি দলের হয়ে প্রথম শ্রেনীর ক্রিকেট খেলেন। ২০০৭ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী পাকিস্তান দলের অন্যতম সদস্য ফাওয়াদ। ফাওয়াদের বার্ষিক আয় ৬ মিলিয়ন ডলার যা টাকায় ৫০ কোটি ৪৫ লাখ। ৭. মিসবাহ উল হক : পাকিস্তান জাতীয় দলের সফলতম সাবেক অধিনায়ক মিসবাহ-উল-হক। অত্যন্ত শান্ত মেজাজের জন্য তিনি বিখ্যাত। সফলতম সাবেক এই অধিনায়ক ‘সিতার-ই-ইমতিয়াজ’ পুরস্কার জিতেছিলেন। তার বাৎসরিক আয় ৯.৮ মিলিয়ন ডলার। ৮২ কোটি ৪০ লাখ টাকা। ৬. সাঈদ আনোয়ার : ২০০৩ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানানো সাঈদ আনোয়ার ছিলেন বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান। ওয়ানডেতে ১৯৪ রানের ইনিংসটি সর্বোচ্চ রানের ইনিংস ছিল ১২ বছর। ওয়ানডেতে ২০টি শতক করেছেন। ২০০৩ সালে তিনি অবসরে যান। তার বার্ষিক আয় ১২ মিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশী মুদ্রায় ১০০ কোটি ৯০ লাখ টাকা। ৫. আজহার আলী : পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক আজহার আলী যিনি অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেট দিয়ে আন্তর্জাতিক ম্যাচে অভিষিক্ত হন। টেস্ট ক্যারিয়ারে তার সর্বোচ্চ স্কোর অপরাজিত ৩০২। সাবেক এই অধিনায়ক পাকিস্তানের শীর্ষ ধনীদের মধ্যে পঞ্চম স্থানে আছেন। বার্ষিক আয় ১৫ মিলিয়ন ডলার যেটি টাকায় ১২৬ কোটি ১২ লাখ।
৪. মোহাম্মদ হাফিজ : পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ হাফিজ যিনি ক্যারিয়ারে বিশ্বের সফলতম ক্রিকেটার। তিনি অনেকবার অলরাউন্ডার র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে ছিলেন। পাকিস্তানের ধনীদের মধ্যে তিনি চতুর্থ অবস্থানে আছেন। তার বাৎসরিক আয় ২৩ মিলিয়ন ডলার টাকায় দাঁড়ায় ১৯৩ কোটি ৩৯ লাখ।
৩. শোয়েব মালিক : পাকিস্তানের আরেক অলরাউন্ডার ও সফলতম অধিনায়ক শোয়েব মালিক। ভারতের সানিয়া মির্জাকে বিয়ে করে আলোচনায় আসেন। আসন্ন ২০১৯ বিশ্বকাপে পাকিস্তান দলের নেতৃত্ব দিবেন তিনি। তার বার্ষিক আয় ২৫ মিলিয়ন ডলার যা বাংলাদেশী মুদ্রায় ২১০ কোটি ২১ লাখ টাকা।
২. শাহিদ খান আফ্রিদি : বিশ্ব ক্রিকেটে বুম বুম খ্যাত শাহিদ খান আফ্রিদি যার ব্যাক্তিত্ব নিয়ে বলাবাহুল্যে রাখে না। আফ্রিদি বেশি পরিচিত তার আক্রমণাত্মক ব্যাটিং ভঙ্গীর এবং একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে দ্রæততম শতক ধরে রাখার জন্য। তিনি এক ওভারে করেছিলেন ৩২ রান, যা একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে এক ওভারে ২য় সর্বোচ্চ স্কোর। তিনি শুধু ক্রিকেটেই আয় করেননি বিভিন্ন উৎস থেকেও আয় বাড়িয়ে নিয়েছেন। তার বাৎসরিক আয় ৪৭ মিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশী মুদ্রায় ৩৯৫ কোটি ১৯ লাখ টাকা। ১. ইমরান খান : পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক ও বর্তমান পাকিস্তানের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। খেলোয়াড় জীবন শেষে তিনি রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। তিনি বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বকালের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডারদের একজন। তার অধিনায়কত্বে পাকিস্তান ১৯৯২ সালে বিশ্বকাপ জয় করে। সাবেক এই ক্রিকেটারের আয় ৭০ মিলিয়ন ডলার। যা টাকায় ৫৮৮ কোটি ৫৮ লাখ। -সূত্র বিয়াম.পিকে