আবু আহমেদ বললেন, এতো বড় অর্থনীতি রক্ষণাবেক্ষণ করা সরকারের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ
আমিরুল ইসলাম : বাংলাদেশের অর্থনীতি বর্তমানে প্রায় ৩০০ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি। অর্থনীতি বড় হওয়ায় সরকারের জন্য সামনে কি চ্যালেঞ্জ জানতে চাইলে অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেছেন, আয়ের বৈষম্য নিয়ন্ত্রণ ও এতো বড় অর্থনীতি রক্ষণাবেক্ষণ করা সরকারের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
বাংলাদেশ উচ্চতর প্রবৃদ্ধির দিকে চলে গেছে এটা বলা যাবে না, তবে যাচ্ছে। গত দশ বছর আমাদের প্রবৃদ্ধি ভালো হয়েছে। সামনে আরো দশ বছরের মধ্যে প্রবৃদ্ধি যদি ১০ শতাংশ প্লাস এ নেয়া যায় তাহলে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে। যে সমস্ত দেশে সম্পদ ধারণ ও আয়ের বৈষম্য বেশি তার মধ্যে বাংলাদেশ উপরের সারিতে রয়েছে। প্রবৃদ্ধি যতো বেশি বাড়বে পরিবেশের ওপর ততো বেশি চাপ পড়বে। নদী ও বনের ওপর একটা চাপ পড়বে। ফসলি জমির পরিমাণ একেবারে কমে যাবে। বাংলাদেশের জনসংখ্যা এক জায়গায় স্থিতিশীল নেই। যে হারে জনসংখা বাড়ছে আর যে হারে ফসলি জমি কমছে তাতে এটা একটা বড় চ্যালেজ হয়ে দাড়িয়েছে সরকারের জন্য। এক্সপোর্ট মার্কেটে প্রবেশে বাংলাদেশ এখনো দারুণভাবে ব্যর্থ। আমাদের কোনো মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি নেই কোনো দেশের সঙ্গে। রিজিওনালি যে দুই একটা আছে সেগুলোও কাজ করছে না। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য চ্যালেঞ্জ হবে বিদেশি বাজারে প্রবেশ করা। শুধু গার্মেন্টস ও রেমিটেন্সের ওপর নির্ভর করে অর্থনীতি সচল রাখা যাবে না। গ্লোবাল চালচিত্র যেভাবে পরিবর্তন হচ্ছে তাতে বাইরের মার্কেটে আমাদের এক্সেস কমে যাবে। যেসব দেশ মুক্ত বানিজ্য চুক্তিতে আছে তারা এগিয়ে যাবে। বাংলাদেশের এটা নেই। যুক্তরাষ্ট্রে ভিয়েতনাম,লাওস, কম্বোডিয়া বাংলাদেশ থেকে কম টাকা কর দেয়। মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি করার ক্ষেত্রে আমরা অনেকগুলো সুযোগ হারিয়ে ফেলেছি। থাইল্যান্ডের রপ্তানি ২৮০ বিলিয়ন ডলারের বেশি। আমরা কোথায় আছি? কাঠামোগত উন্নোয়নে যে অর্থ রারাদ্দ করা হয় সেটা জনগণের কাছ থেকে নিতে হবে। যে সমস্ত কোম্পানিগুলো কাজ করে তাদের শেয়ার বিক্রি করতে হবে। ব্যাংকিং খাত থেকে এতো অর্থ নেয়া যাবে না। অর্থায়নে স্টক মার্কেটকে কাজে লাগাতে হবে। বন্ড মার্কেট শুরু করতে হবে। বন্ড যেটা বিক্রি করা হয় সেটার সেকেন্ডারি মার্কেট নেই যেটা বিদেশে আছে।