নিজস্ব প্রতিবেদক : দরদাতা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রস্তাবিত ব্যয় প্রস্তাব কয়েক দফা সংশোধনের পর ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে ভ্যাট ও ট্যাক্স ছাড়া সর্বশেষ ব্যয় দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৩৬ কোটি ডলার। চীনা এক্সিম ব্যাংকের অর্থায়নে জি-টু-জি ভিত্তিতে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েটি নির্মাণ করবে ‘চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট কর্পোরেশন’ (সিএমসি)।
জানা যায়, প্রকল্পটি প্রথমে ‘পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ’ (পিপিপি)-এর আওতায় বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। প্রথম দফায় ‘এক্সপ্রেস অব ইন্টারেস্ট’ (ইওআই) আহবানে কোন সাড়া পাওয়া না গেলেও দ্বিতীয় দফায় ৭টি প্রস্তাব পাওয়া যায়। পরবর্তীতে প্রকল্পটি বাস্তবায়নে চীনা সরকারের সহযোগিতার আশ্বাস পাওয়া গেলে চীনা অর্থায়নে এটি বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সূত্র জানায়, প্রকল্পের আওতায় প্রাথমিকভাবে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে আবদুল্লাহপুর-আশুলিয়া-বাইপাইল হয়ে নবীনগর ইন্টারসেকশন ও ইপিজেড হয়ে চন্দ্রা ইন্টারসেকশন পর্যন্ত মোট ৩৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে এবং ৬ দশমিক ৩৬ কিলোমিটার র্যাম্প নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। পরবর্তীতে প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই পরীক্ষা ও সর্বশেষ বিশেষজ্ঞদের মতামতের পর প্রকল্পের চ‚ড়ান্ত রূপরেখা দাঁড়িয়েছে- হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে আশুলিয়া হয়ে ইপিজেড পর্যন্ত ২৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, ৩ দশমিক ৯৭ কিলোমিটার দীর্ঘ র্যাম্প, সাভার থেকে চন্দ্রা অভিমুখী ও চন্দ্রা থেকে আরিচা অভিমুখী দুই লেন বিশিষ্ট দুটি পৃথক ফ্লাইওভার নির্মাণ, ইপিজেড থেকে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে উঠা-নামার জন্য ২টি র্যাম্পসহ একটি আন্ডারগ্রাউন্ড ইউলুপ নির্মাণ, জিরাবো ইন্টারসেকশন-এ উঠা-নামার জন্য ২টি র্যাম্প ও মিরপুর বেড়ীবাঁধ ইন্টারসেকশন-এ উঠা-নামার জন্য ২টি র্যাম্প নির্মাণ, বিদ্যমান ১৫ দশমিক আশুলিয়া সড়ক চারলেনে উন্নীতকরণ এবং ২ দশমিক ৭২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে ২টি সেতুসহ ড্রেন নির্মাণ।
সম্ভাব্যতা যাচাই পরীক্ষা ও পরবর্তীর্তে বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে প্রকল্পে বিভিন্ন বিষয় সংযোজন ও পরিবর্তনের কারণে দরদাতা চীনা প্রতিষ্ঠানের কাছ একাধিকবার সংশোধিত দরপ্রস্তাব গ্রহণ এবং একাধিক বৈঠক ও নেগোসিয়েশনের মাধ্যমে ব্যয় প্রস্তাব চ‚ড়ান্ত করা হয়েছে বলে জানা যায়।