সরকার দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে বৈধপথে রেমিটেন্স আসা বন্ধ হয়ে যাবে, বললেন মালয়েশীয় প্রবাসি ব্যবসায়ি রহমান পারভেজ
শাহীন চৌধুরী : ২. দেশে বৈধ পথে রেমিটেন্স আসা ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে। কিন্ত টাকা ঠিকই আসছে নানা পথ দিয়ে অথচ সরকার বঞ্চিত হচ্ছে। তাই এ ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা না দিলে কয়েক বছর পর বৈধপথে রেমিটেন্স আসা একেবারেই বন্ধ হয়ে যাবে। আমাদের অর্থনীতির সাথে একান্ত সাক্ষাতকারে কথাগুলো বলেন মালয়েশিয়া প্রবাসী ব্যবসায়ি এসএম রহমান পারভেজ।
৩. এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন গত ফেব্রুয়ারিতে রেমিটেন্স এসেছে ১৩২ কোটি ডলার। ২০১৮ সালের একই মাসের চেয়ে প্রায় ১৫ শতাংশ বেশি। এসএম রহমান পারভেজ মনে করেন, বৈধ পথে যে পরিমাণ রেমিটেন্স আসছে অবৈধ পথে আসছে তার দ্বিগুণেরও বেশী।
৪. বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে দেখা গেছে, রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ৬ ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিটেন্স এসেছে ২৮ কোটি ৮ লাখ ডলার। বিশেষায়িত কৃষি ও রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে দেড় কোটি ডলার। বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১০১ কোটি ১০ লাখ ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১ কোটি ৭ লাখ ডলার। বাংলাদেশের জিডিপিতে ১২ শতাংশ অবদান রাখে প্রবাসীদের পাঠানো এই বৈদেশিক মুদ্রা।
৫. বাংলাদেশ ব্যাংকের রেমিটেন্স সংক্রান্ত প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রথম ৮ মাসে ১ হাজার ৪১ কোটি ৩ লাখ ডলার রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। ৮ মাসে গত বছরের তুলনায় রেমিটেন্স বেড়েছে ১০ দশমিক ৩ শতাংশ।
৬. ৯০-এর দশকে মালয়েশিয়া যান বরিশালের গৌড়নদীর বাসিন্দা রহমান পারভেজ। বর্তমানে তিনি সেখানে গার্মেন্টস, রেস্টুরেন্ট ও মিডিয়া ব্যবসায়ের সঙ্গে যুক্ত। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখন পুথিবীর বিভিন্ন দেশে প্রায় এক কোটি প্রবাসী রয়েছে। তাদের মাধ্যমে যে পরিমান বৈদেশিক মুদ্রা আসছে সেখানে সরকারের কোনও খরচ নেই। সুতরাং এই খাতকে খুবই গুরুত্ব দেয়া উচিৎ।
৭. রহমান পারভেজ বলেন, মালয়েশিয়ায় ৪ লাখ বৈধ প্রবাসী রয়েছে। এছাড়া অবৈধ রয়েছে আরও প্রায় ২ লাখ। এই খাতকে শক্তিশালী করতে হলে আমাদের দূতাবাসগুলোকে অবশ্যই পাশে দাড়াতে হবে।
৮. অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বৈধভাবে রেমিটেন্স আনার ক্ষেত্রে আমি সরকারকে সহযোগিতা করতে পারি। কিন্তু তাতে আগ্রহ থাকতে হবে সরকারের। সম্পাদনা : ইকবাল খান