আশরাফুল নয়ন : জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিনে রোববার বিকেল ৪টায় শহরের এটিএম মাঠে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এ প্রতিযোগীতার আয়োজন করা হয়। যেখানে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ নিয়েছেন।
জানা গেছে, সাম্প্রতিক সময়ে বিনোদনের জন্য রয়েছে বিভিন্ন ধরনের উপকরণ থাকার পরও এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তানসহ প্রভৃতি দেশে উড়ানো একটি বিনোদনম‚লক খেলা। এসব এলাকায় ঘুড়ি উড়ানোর বিশেষ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।
কাগজ দিয়েই সাধারণত ঘুড়ি বানানো হয়। এর ফ্রেম তৈরিতে ব্যবহার হয় বাঁশের কাঠি বা শক্ত অথচ নমনীয় কাঠ। এছাড়াও অত্যন্ত গুরুত্বপ‚র্ণ উপাদান হিসেবে সুতা কিংবা পাতলা দড়ির ব্যবহার করা হয়ে থাকে। বর্তমানে ঘুড়ি তৈরীতে কিছুটা আধুনিকতা আনা হয়েছে। প্রাণীদের বা পাখির ছবি সম্বলিত কাপড় প্রিন্ট করে শক্ত কাঠির সাথে আকটিয়ে ঘুড়ি তৈরী করা হচ্ছে। আকারে ছোট-বড় হয়ে থাকে। গাংচিল, উড়োজাহাজ সহ বিভিন্ন আকারে ঘড়ি উড়ানো হয়েছে। বড়, ছোট বিভিন্ন আকারের ঘুড়ির দেখে মিলে আকাশে। ঘুড়ি উড়ানো দেখনে পাঠের চারপাশে বিভিন্ন বয়সি নারী পুরুষ শিশুদের আগমন ঘটে। দর্শকের মাঝে থাকে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা ছিল।
মহাদেবপুর উপজেলার ডাক্তার আফাজ উদ্দিন নিন্ম মাধ্যমিক মেমোরিয়াল বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মিতু খাতুন, নওগাঁ মরছুলা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী রিয়া মনি, সীমান্তু পাবলিক স্কুলের আব্দুল্লাহ আল মামুন, নাফিসা তাবাসুম শিফা বলেন, আমরা কখনো ঘুড়ি উড়ানো দেখিনি। ব্যতিক্রম এ আয়োজনে অংশ নিতে পেরে আমরা খুবই আনন্দিত। এটি করতে গিয়ে যে আনন্দ পেয়েছি তা ভাষায় প্রকাশ করার মতো না। এতে করে আমাদের মানষিক বিকাশের দিকটাও প্রসারিত হবে। প্রতিবছর যেন এমন আয়োজন করা হয় এ ব্যাপারে প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করছি।
নওগাঁ জেলা প্রশাসক মো: মিজানুর রহমান বলেন, জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শিশুদের খুবই ভালবাসতেন। এদিনটি জাতীয় শিশুর দিবস হিসেবেও পরিচিত। শিশু কিশোরদের গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য সম্পর্কে অবিহিত করা এবং সৃৃজনশীলতা ছড়িয়ে দিতে ম‚লত এ প্রতিযোগীতার আয়োজন করা হয়েছে। আগামী বছরে বঙ্গবন্ধুর শতবর্ষী পালন করা হবে। সে বছরে আরো সুন্দর ও জাকজমকপ‚র্ণ উৎসবের আয়োজন করা হবে।