আমান উল্লাহ : ২. কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের এক অবিচ্ছেদ্য জীববৈচিত্রের অংশ লাল কাঁকড়া। এক সময় ১২০ কিলোমিটার দীর্ঘ সৈকতে নির্বিঘেœ বিচরণ করত লাল কাঁকড়ার দল। পর্যটন নগরী কক্সবাজার সৈকতে ঘোড়া ও বিচ বাইকের বেপরোয়া বিচরণে ধ্বংস যাচ্ছে লাল কাঁকড়া।
৩. পর্যটক রিফাত উল্লাহ জানান, কক্সবাজার থেকে খুব হতাশা নিয়ে ফিরছেন তিনি। কারণ তিনি সমুদ্র সৈকতের লাল কাঁকড়া দেখার আশা নিয়ে কক্সবাজারে এসেছেন। কিন্তু কোথাও তেমন একটা লাল কাঁকড়ার দেখা মেলেনি।
৪. পরিবেশবাদী নেতা ফজলুল কাদের চৌধুরী, সমুদ্র সৈকতে লাল কাঁকড়া রক্ষা করতে যত্রতত্র বিচ বাইক ও ঘোড়াসহ অন্যান্য সব ধরনের ঝুঁকিপূর্ণ যান চলাচল বন্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এর পাশাপাশি লাল কাঁকড়ার অবাধ বিচরণের জন্য চারণভ‚মি চিহ্নিত করে তাদেরকে চলাচলের সুযোগ দিতে হবে। ৫. সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) কক্সবাজার জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুর রহমান জানান, সৈকতে মানুষের বিচরণ বৃদ্ধির কারণে হারিয়েছে লাল কাঁকড়া। সৈকত জুড়ে অবৈধভাবে বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণের কারণেও লাল কাঁকড়া হারিয়ে যাচ্ছে।
৬. কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন বলেন, অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে আমরা প্রতিনিয়ত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছি।
তবে মানুষের চলাচল বৃদ্ধির কারণে ১১টি পয়েন্টে এখন লাল কাঁকড়ার দেখা মিলে না। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মানুষের মধ্যে সচেতনা বৃদ্ধির মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়া হবে। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান