রমজানে দাম না পাওয়ার আতংকে লিচুর বাগান কিনতে সাহস পাচ্ছেন না ক্রেতারা
মতিনুজ্জামান মিটু : ২. ফলদ বৃক্ষরোপণ ও পরিচর্যায় সফল কৃষিজীবী পাবনার মো. আব্দুল জলিল (কেতাব) ম-ল বললেন, এবার রমজান মাস পড়ে যাওয়ায় লিচুর দাম হবে ব্যাপক কম। রমজান মাসে সাধারণত লিচুর কেনা বেচা তেমন একটা হয় না, বাধ্য হয়ে কম দামে বেচতে হয়। ৩. অন্যবার মার্চ-এপ্রিলে প্রায় ৭০ ভাগ লিচুর বাগান কেনা বেচা হয়ে যেতো, এবার ৫ ভাগও হয়নি।
৪. গত বছরের চেয়ে এবার লিচুর ফলন দ্বিগুণেরও বেশি বাড়বে বলে আশা করা যায়। গত মৌসুমে বাগানের লিচুর গাছে শতকরা ৪০ ভাগ মুকুল এসেছিলো। এবার এসেছে ৯০ ভাগ মুকুল।
৫. বাজার মন্দা হওয়ার আশংকায় লিচুর বড় মোকাম ঢাকা, সিলেট ও ফেনির আড়তদাররা এখনো দাদন দিচ্ছেন না। পরিস্থিতিতি কি হয় তা দেখে শুনে তারা দাদন দেবেন।
৬. এক একরের লিচুর বাগান সাধারণত ৫ লাখ থেকে ৬ লাখ টাকায় বিক্রি হয়ে থাকে। বাগান মালিকদের কাছ থেকে লিচু ব্যবসায়ীরা এই বাগান কিনে থাকেন।
এক একরের বাগানে ৪০ থেকে ৫০টি লিচুর গাছ থাকে। যাতে ৪ লাখ থেকে ৫ লাখ লিচু হয়। গুটি থেকে লিচু পাড়া পর্যন্ত (মে মাস পর্যন্ত ) এই বাগান থাকে ব্যবসায়ী ক্রেতাদের অধীনে।
৭. কোনো ঝড় ঝাপ্টার মুখে না পড়লে এবার আমার ৬০ বিঘা জমির বাগানগুলোর এক হাজারেরও বেশি গাছে ৩৫ লাখ থেকে ৪০ লাখ লিচু হবে।
৮. পাবনা অঞ্চলে এবার ৩৫০০ থেকে ৩৭০০ হেক্টর জমিতে লিচু চাষ হয়েছে। ঈশ্বরদীর এক হেক্টরের জমিতে ৩০ থেকে ৩৫ গাছ হয়ে থাকে। এখানে গাছ প্রতি হাজার থেকে ৫ হাজার লিচু পাওয়া যায়।
৯. এখানকার বাগানে বোম্বাই, দেশী, চায়না থ্রি ও বেস্ট জাত হিসেবে পরিচিত ‘কদমি’ জাতের লিচুর চাষ হয়েছে। গত বছর হাজার প্রতি লিচু ২ হাজার থেকে ২ হাজার ২শ টাকায় বিক্রি হয়েছিলো। সম্পাদনা : রেজাউল আহসান