শোভন দত্ত : দেশে অতি দরিদ্রের হার ১১ ভাগে নামিয়ে আনা হয়েছে উল্লেখ করে ভবিষ্যতে বাংলাদেশে হতদরিদ্র কেউ থাকবে না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার সকালে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় কমিটি ও বাস্তবায়ন কমিটির যৌথ সভায় তিনি এ কথা বলেন। সূত্র : বাসস ও ঢাকা টাইমস
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘গ্রামে দারিদ্র্য, হাহাকার, থাকার জায়গা নেই, খাওয়ার কিছু নেইÑএইসব কষ্ট বাবাকে ব্যথিত করেছিলো। সেজন্যই তিনি জীবনের সবকিছু ত্যাগ করে বাংলাদেশের মানুষের জন্য কষ্ট স্বীকার করে গেছেন।’
‘তার কষ্টের কারণেই আমরা স্বাধীন জাতি হিসেবে পেয়েছি মর্যাদা। দারিদ্রের হার কমিয়ে এনেছি, এক সময় বাংলাদেশে হতদরিদ্র বলে কিছু থাকবে না।’
ক্রয়ক্ষমতার সমতা অনুযায়ী (পিপিপি), যাদের দৈনিক আয় ১ ডলার ৯০ সেন্টের কম, তাদের হতদরিদ্র হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বিশ্বব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, বাংলাদেশে ১ কোটি ৬২ লাখ মানুষের দৈনিক আয় ১ ডলার ৯০ সেন্টের কম। আন্তর্জাতিক দারিদ্র্যরেখা অনুযায়ী, এরা হতদরিদ্র।
উন্নয়নশীল দেশ হিসাবে বাংলাদেশ যে স্বীকৃতি পেয়েছে, সেটা ধরে রাখতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, ‘দেশের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রেখে শতবার্ষিকীতে জাতির পিতার সোনার বাংলা গড়ে তোলা হবে। জাতীয়ভাবে জন্মবার্ষিকী পালনের জন্য ১০২ সদস্যের জাতীয় কমিটি ও ৬১ সদস্যের বাস্তবায়ন কমিটি গঠন করা হয়েছে।’
এসময় তিনি তৃণমূল পর্যায়েও বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী পালনের আহ্বান জানান। তৃণমূল পর্যন্ত যাতে জাতির পিতার জন্মবার্ষিকী উদ্্যাপন করা হয় সরকার সে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। সম্পাদনা : রেজাউল আহসান