বৈশ্বিক জ্বালানি তেল চাহিদা কমানোর পেছনে বড় ভ‚মিকা রাখবে চীনের ইলেকট্রিক বাস
নূর মাজিদ : ২) বিশ্ববাজারে বর্তমানে জ্বালানি তেলের দর আবারও চাঙ্গা হয়েছে। অবশ্য এর পেছনে ইরান ও ভেনিজুয়েলার তেল আমদানিতে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা এবং ওপেকের তেল উৎপাদন কমানোর মতো ঘটনা মূল প্রভাবক হিসেবে কাজ করছে। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কমে আসাও অপর একটি কারণ। তবে একইসঙ্গে বিশ্বের ভোক্তাবাজারে ইলেকট্রিক গাড়ির বাজার প্রসারও তেলের চাহিদা কমিয়ে আনছে। এইক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত ইলেকট্রিক গাড়ি নির্মাতা টেসলাকে পিছনে ফেলে এগিয়ে গেছে চীন। দেশটির তৈরি বৈদ্যুতিক বাস এখন বিশ্বব্যাপী কমিয়ে আনছে প্রচলিত ডিজেল জ্বালানি নির্ভরতা । বøুমবার্গ
৩) চলতি বছরের শেষ নাগাদ বৈদ্যুতিক বাস পরিবহন সেবা জ্বালানি হিসেবে ডিজেলের ব্যবহার দৈনিক ২ লাখ ৭০ হাজার ব্যারেল কমাবে। এই কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে নেতৃত্বে আছে চীন। কারণ, দেশটির বৈদ্যুতিক বাস যে পরিমাণ ডিজেল ব্যবহার কমিয়ে আনবে তা বাকি বিশ্বের বৈদ্যুতিক পরিবহনগুলোর ডিজেল ব্যবহার কমিয়ে আনার পরিমাণের চাইতে তিনগুণ বেশি হবে। মার্কিন গণমাধ্যম বøুমবার্গ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে শীর্ষ জ্বালানি বিশেষজ্ঞদের বরাতে এই তথ্য জানানো হয়। এইক্ষেত্রে মাত্র ১২ শতাংশ অবদান রাখবে টেসলা।
৪) বর্তমানে সাড়া বিশ্বে ইলেকট্রিক গাড়িগুলো মাত্র ৩ শতাংশ প্রচলিত জ্বালানি চাহিদা কমিয়ে এনেছে। আকার এবং যাত্রী পরিবহন সক্ষমতার কারণেই ইলেকট্রিক বাস এই ক্ষেত্রে আরো বড় ভূমিকা রাখতে পারে। প্রতি হাজার ইলেকট্রিক বাস দৈনিক ৫শ ব্যারেল প্রচলিত ডিজেল ব্যবহার কমায়। সেই তুলনায় ১ হাজার ইলেকট্রিক কার দৈনিক মাত্র ১৫ ব্যারেল জ্বালানি তেলের চাহিদা কমায়। সম্পাদনা : ইকবাল খান