সরকারি চাকরিজীবীদের গৃহ নির্মাণ ঋণের আবেদনে হিড়িক পড়লেও অনুমোদনে ধীরগতি
সোহেল রহমান : ২) মাত্র ৫ শতাংশ সরল সুদে ব্যাংক ব্যবস্থার মাধ্যমে সরকারি চাকরিজীবীদের গৃহ নির্মাণ ঋণ প্রদানের স্কিমটি চলতি অর্থবছরের প্রথম দিন (০১ জুলাই ২০১৮) থেকে কার্যকর করা হয়। তবে আবেদন গ্রহণ শুরু হয় গত ০১ অক্টোবর থেকে। এরপর যাচাই-বাছাই শেষে প্রথম ঋণ চ‚ড়ান্ত অনুমোদন করা হয় গত ডিসেম্বরের শেষ দিকে নির্বাচনের কয়েকদিন আগে। যাত্রা শুরুতে দুইজন অতিরিক্ত সচিবের আবেদন অনুমোদন দেয়া হয়। ৩) এরপর গত সপ্তাহ পর্যন্ত প্রায় ২০ হাজারেরও বেশি আবেদনের বিপরীতে মাত্র ৩৪টি আবেদন মঞ্জুর করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। আর এদের মধ্যে ব্যাংক থেকে ঋণের অর্থ উত্তোলন করেছেন মাত্র তিনজন।
৪) অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, যে ৩৪ জন সরকারি চাকরিজীবীর গৃহ ঋণের আবেদন মঞ্জুর করা হয়েছে তাদের ৩৩ জনই ক্যাডারভ‚ক্ত কর্মকর্তা। বাকি একজন নন-ক্যাডার কর্মকর্তা। আর যে তিনজন আবেদনকারী গৃহঋণের অর্থ ব্যাংক থেকে উত্তোলণ করেছেন তারা সবাই অতিরিক্ত সচিব পদ মর্যাদার। ৫) প্রতিটি ঋণের মাসিক ভর্তুকি বাবদ ২২ থেকে ২৫ হাজার টাকা করে দেয়া হবে। ৬) গৃহ ঋণ খাতে ভর্তুকি বাবদ চলতি অর্থবছরে ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছে সরকার।
৭) গৃহ নির্মাণ ঋণ প্রদান সংক্রান্ত পরিপত্র অনুযায়ী, জমি ক্রয়সহ গৃহ নির্মাণ কিংবা সম্পূর্ণ তৈরি ফ্ল্যাট ক্রয়ের জন্য প্রণীত নীতিমালা মেনে ব্যাংকিং ব্যবস্থার মাধ্যমে সর্বনি¤œ ২০ লাখ টাকা থেকে ৭৫ লাখ টাকা পর্যন্ত গৃহ নির্মাণ ঋণ পাবেন সরকারি চাকরিজীবীরা। সরকারি চাকরিতে স্থায়ী ও সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৫৮ বছর পর্যন্ত চাকরিজীবীরা এই ঋণ সুবিধা পাবেন। এ ঋণের সুদের হার নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ শতাংশ সরল সুদ। তবে সুদের হারের অর্ধেক সরকার ভর্তুকি দেবে। অর্থাৎ সরকারি চাকরিজীবিদের ৫ শতাংশ হারে সুদ দিতে হবে। বিশ বছর মেয়াদে এই ঋণ পরিশোধ করতে হবে। ঋণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান কেইস-টু-কেইস ভিত্তিতে ঋণ প্রদান করবে এবং ঋণের বিপরীতে ঋণ গ্রহীতাকে রেজিস্টার্ড দলিল মূলে বন্ধকী প্রদান করতে হবে। ঋণ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে কোন প্রসেসিং ফি কিংবা আগাম ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে কোন প্রকার অতিরিক্ত ফি প্রদান করতে হবে না। গ্রæপভিত্তিক ঋণও নেওয়া যাবে।
৮) বাড়ি নির্মাণের ক্ষেত্রে চার কিস্তিতে এবং ফ্ল্যাট কিংবা জমিসহ বাড়ি ক্রয়ের ক্ষেত্রে এক কিস্তিতেই পুরো অর্থ প্রদান করা হবে। ঋণের গ্রেস পিরিয়ড বাড়ি নির্মার্ণের ক্ষেত্রে ঋণের প্রথম কিস্তির অর্থছাড়ের পর ১ বছর এবং ফ্ল্যাট ক্রয়ের ক্ষেত্রে অর্থছাড়ের পর ৬ মাস গ্রেস পিরিয়ড নির্ধারণ করা হয়েছে।