দক্ষিণের দেশগুলোর জন্য মন্ত্রী পর্যায়ের একটি ফোরাম প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
বাসস : ২) জাতিসংঘের দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতা বিষয়ক ২য় উচ্চ পর্যায়ের সম্মেলনে (বাপা+৪০) অংশ নিয়ে দক্ষিণের দেশগুলোর জন্য একটি মন্ত্রী পর্যায়ের ফোরাম এবং ‘দক্ষিণ-দক্ষিণ জ্ঞান ও উদ্ভাবনী কেন্দ্র’ প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ।
২) গতকাল ঢাকায় বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আর্জেন্টিনার বুয়েন্স আয়ারস্-এ অনুষ্ঠিত সম্মেলনের দেশ পর্যায়ের বক্তৃতায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এই প্রস্তাব দিয়েছেন।
৩) বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন ‘এজেন্ডা ২০৩০ বাস্তবায়নে দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতাকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে বাংলাদেশ’। এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘আমরা স্মরণ করিয়ে দিতে চাই ২০১৫ সালের মে মাসে রাজধানী ঢাকায় প্রযুক্তি হস্তান্তর এবং দক্ষিণের উন্নয়নে বিনিয়োগ সংক্রান্ত সাউথ-সাউথ এন্ড ট্রায়াঙ্গগুলার কো-অপারেশনের উচ্চ পর্যায়ের সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার আগেই বাংলাদেশ এজেন্ডা ২০৩০ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতার গুরুত্বের কথা উল্লেখ করেছিল।
৪) ১৯৭৮ সালে আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েনস আয়ারস্ এ অনুষ্ঠিত ‘বুয়েনস আয়ারস্ প্লান অব অ্যাকশান (বাপা)’ গৃহীত হবার চল্লিশ বছর পূর্তির কথা মাথায় রেখেই সাধারণ পরিষদ এবারের এই সম্মেলন অনুষ্ঠান এখানে আয়োজন করেছে। এটি ২২ মার্চ শেষ হবে।
৫) বাংলাদেশ এ সম্মেলনে ভাইস-প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন সম্মেলনটির উচ্চ পর্যায়ের প্লেনারিতে কিছু সময়ের জন্য সভাপতির দায়িত্বও পালন করেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতাকে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের কিছু পরিকল্পনা ও দৃষ্টিভঙ্গির কথা তুলে ধরেন। এর মধ্যে রয়েছে, দক্ষিণের বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা ও এর সম্ভাবনা উন্মোচনের পাশপাশি দক্ষিণে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট কিছু বিষয়ে সফলতা অর্জনের লক্ষ্যে উন্নয়ন, অর্থ, অর্থনীতি এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রী পর্যায়ের একটি ফোরাম গঠন করা। এছাড়া তিনি রাজধানী ঢাকায় ‘দক্ষিণ-দক্ষিণ জ্ঞান ও উদ্ভাবনী কেন্দ্র’ প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দেন। সম্পাদনা : ইয়াছির আরাফাত