বিমানের তেলের দাম বাড়িয়েছে বিপিসি, বিপাকে পড়েছে দেশীয় এয়ারলাইন্সগুলো
শাহীন চৌধুরী : ২. হঠাৎ করেই বিমানের তেলের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)। কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম স্বাভাবিক। আর এ কারণে বিপাকে পড়েছে দেশীয় এয়ারলাইন্সগুলো।
৩. প‚র্বঘোষণা ছাড়া দাম বাড়ানোর কারণে প্রতিযোগিতাম‚লক বাজারে ভাড়া সমন্বয় করতে হিমশিম খাচ্ছে এয়ারলাইন্স সংস্থাগুলো। এতে করে রাষ্ট্রায়ত্ত বিমান বাংলাদেশের পাশাপাশি অন্যান্য বেসরকারি এয়ারলাইন্সও লোকসানের শঙ্কা করছে।
৪. সূত্র জানায়, বাংলাদেশের বিমানের জ্বালানি সরবরাহ করে বিপিসি’র অঙ্গপ্রতিষ্ঠান পদ্মা ওয়েল কোম্পানি লিমিটেড। গত ৫ মার্চ প্রতিষ্ঠানটির ডেপুটি ম্যানেজার মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম স্বাক্ষরিত এক নোটিসে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির কথা জানানো হয়। নোটিসে বলা হয়, উড়োজাহাজের (জেট এ-১) ফুয়েলের দাম আন্তর্জাতিক রুটে নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৮ ইউএস সেন্ট, যা আগে ছিল ৬২ সেন্ট। আর অভ্যন্তরীণ রুটে প্রতি লিটার জ্বালানির দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৭২ টাকা, যা আগে ছিল ৬৭ টাকা।
৫. বাংলাদেশে উড়োজাহাজের জ্বালানির দাম বাড়লেও প্রতিবেশী ভারতে জ্বালানি খরচ ৩০ শতাংশ কম বলে জানিয়েছেন বিমান সংশ্লিষ্টরা। একইভাবে বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক রুটে ৬৮ ইউএস সেন্ট জ্বালানির দাম নির্ধারণ করে দেয়া হলেও কলকাতায় তার দর ৫৩ ইউএস সেন্ট। এ ছাড়া মালেয়েশিয়া বা মধ্যপ্রচ্যোর দেশগুলোর সঙ্গে জ্বালানির দামে ব্যাপক পার্থক্য রয়েছে।
৬. এভিয়েশন সংশ্লিষ্টদের মতে, বরাবরই আন্তর্জাতিক বাজারের তুলনায় বাংলাদেশে উড়োজাহাজের জ্বালানির দাম বেশি থাকে। এজন্য এদেশ থেকে আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট পরিচালনার ব্যয় অনেক বেশি। এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষের দাবি, জ্বালানি তেলের দাম ১ ইউএস সেন্ট বৃদ্ধি পেলেই বছরে ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় ৬ কোটি টাকা। সেখানে ৫ থেকে ৬ সেন্ট বাড়ানোয় কি অবস্থা হবে তা বলার অপেক্ষা রাখেনা।
৭. এ প্রসঙ্গে বিমান বাংলাদেশের মহাব্যবস্থাপক শাকিল মেরাজ বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারের তুলনায় উচ্চম‚ল্য দিয়েই এখানে আমরা ফুয়েল সংগ্রহ করি। ফলে এয়ারলাইন্সগুলো ব্যয় মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে। এ অবস্থায় আবার নতুন করে দাম বাড়ানোয় এয়ারলাইন্সের সার্বিক অপরেশনাল প্রফিটের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। সম্পাদনা : ইকবাল খান