দেশে রাইড শেয়ারিং সেবায় বাড়ছে মোটরসাইকেল
বিডিনিউজ : ২. নিজে চলার পাশাপাশি নিজের মোটরসাইকেলে অন্যদের সেবা দিচ্ছেন বাইকাররা। এ বিষয়ে এগিয়ে আসছেন নারীরাও। বিআরটিএ’র হিসাব অনুযায়ী, বর্তমানে সারাদেশে নিবন্ধিত মোটরসাইকেল আছে ২৫ লাখ ১৯ হাজার ২২৬টি। এর মধ্যে ঢাকায় নিবন্ধিত ৬ লাখ ৩১ হাজার ৩৪০টি।
৩. মোটর সাইকেলের ব্যবহার কী হারে বাড়ছে তা নিবন্ধনের বছরওয়ারি হিসাব দেখলেই স্পষ্ট হয়। গত ২৬ মাসে সারা দেশে মোটর সাইকেল নিবন্ধনের হার ৪৬ শতাংশ এবং ঢাকায় ৪৪ শতাংশ বেড়েছে।
৪. ঢাকায় ২০১৭ সালে যেখানে ৭৫ হাজার ২৫১টি মোটরসাইকেলের নিবন্ধন দেওয়া হয়েছিল, ২০১৮ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় এক লাখ চার হাজার ৬৪টিতে। আর চলতি বছরের প্রথম দুই মাসে ১৪ হাজার ৬৯৯টি মোটরসাইকেলের নিবন্ধন দিয়েছে বিআরটিএ।
৫. ২০১৭ সালে সারাদেশে তিন লাখ ২৬ হাজার ৫৫০টি মোটরসাইকেলে নিবন্ধন দেওয়া হয়েছিল। ২০১৮ সালে নিবন্ধন পায় তিন লাখ ৯৫ হাজার ৬০৩টি। আর চলতি বছরের প্রথম দুই মাসে ৭২ হাজার ৭০৪টি মোটরসাইকেলের নিবন্ধন হয়েছে।
গেল সপ্তাহে বিআরটিএ-এর মিরপুর কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায় মোটরসাইকেল নিবন্ধন করতে আসা মানুষের ভিড়।
৬. সৌখিন মোটর বাইকারদের সংগঠন থ্রটলারের প্রতিষ্ঠাতা এবং মোটরসাইকেল বিষয়ক ব্লগার নাভিদ ইশতিয়াক তরু বলেন, বাইক অনেকের প্যাশনের জায়গা। ছেলেরা বাইকের প্রতি একটু বেশি আগ্রহী হয়। এক সময় ঘোড়ার প্রতি মানুষের আগ্রহ ছিল, এখন ঘোড়া নেই, সে জায়গায় বাইকের প্রতি মানুষের আগ্রহ এসেছে।
আর মোটরসাইকেল সবচেয়ে স্বাধীন বাহন। বাইক নিয়ে যে কোনো সময় যে কোনো জায়গায় যাওয়া যায়, চলার পথে কোথাও ভালো একটা জিনিস চোখে পড়লে বাইক থামিয়ে সেটা দেখে নেওয়া যায়। আর যানজটের এই শহরে সবচেয়ে আগে যাওয়ার জন্য বাইকের তো বিকল্প নেই।
৭. মোটরসাইকেলের সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দুর্ঘটনা বাড়ায় অনেকের মধ্যে উদ্বেগ রয়েছে। এ বিষয়ে তরুর ভাষ্য, মনোযোগ দিয়ে চালালে দুর্ঘটনার সুযোগ কম। সম্পাদনা : শোভন দত্ত