জ্বালানি খাতে যে ব্যয় হচ্ছে তার চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ শতাংশই অযৌক্তিক বললেন ড. শামসুল আলম
জুয়েল খান : জ্বালানি খাতে দুর্নীতির কারণে সমস্ত ক্রয় হচ্ছে কোনো প্রকার প্রতিযোগিতা ছাড়া, নেই কোনো স্বচ্ছতা। এছাড়া বিতরণ এবং সঞ্চালন পর্যায়ে রয়েছে বিস্তর অনিয়ম। এ বছরের গণশুনানিতে দেখা গেলো যে অস্বাভাবিক ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা। এর সমাধানের পথ হিসেবে বেছে নেয়া হয়েছে জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধি করার মতো সিদ্ধান্ত। এই খাতের ঘাটতি বেড়েই চলেছে আর এটাকে প্রশমিত করার জন্য মূল্য বৃদ্ধি করার চেষ্টা করা হচ্ছে। বাধাবিঘœ আসলে সরকার সাময়িকভাবে ভর্তুকি দিয়ে ঠেকানোর চেষ্টা করছে বলে মনে করেন জ্বালানি বিশেজ্ঞ ড. শামসুল আলম।
তিনি বলেন, এলএনজির ওপরে নির্ভরতা বাড়ানোর ফলে জ্বালানি ব্যয় বাড়বে তাতে টেকসই শিল্পের টিকে থাকা কঠিন হবে এমনকি কিছু কিছু শিল্প বন্ধ হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে। যদি গ্যাসের দাম কমাতে হয় তাহলে অবশ্যই জ্বালানি খাতে ব্যয় কমাতে হবে।
এলএনজি আনার কারণে ঘাটতি হওয়ায় গ্যাসের দাম বাড়ানো হচ্ছে। মূলত অযৌক্তিক ব্যয় বাড়ার ফলে এভাবে গ্যাসের দাম বাড়াতে হচ্ছে। জ্বালানি ব্যয় কমাতে হবে, উৎপাদন, সরবরাহ, দক্ষতা বাড়াতে হবে। প্রযুক্তিগত উন্নয়ন, স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা এবং অযৌক্তিক ব্যয় কমিয়ে আনতে পারলে জ্বালানির মূল্য নিয়ন্ত্রণে আসবে। এগুলো না করে ভোক্তা পর্যায়ে মূল্য বৃদ্ধি করা কোনোভাবেই সুফল বয়ে আনবে না।