বাজেটে ভর্তুকি, প্রণোদনা ও নগদ ঋণ খাতে ৪২ হাজার ১শ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব
সোহেল রহমান : এটি চলতি অর্থবছরের মূল বাজেট থেকে ৪ হাজার ২৯৬ কোটি টাকা বেশি। চলতি অর্থবছরে এসব খাতে মোট ৩৭ হাজার ৮০৪ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, আসন্ন বাজেটে শুধু ভর্তুকি খাতে বরাদ্দ বাড়ছে। চলতি অর্থবছরে ভর্তুকি খাতে বরাদ্দের পরিমাণ হচ্ছে ১৯ হাজার ৩০৪ কোটি টাকা। আগামী বাজেটে এটি বাড়িয়ে ২৩ হাজার ৬শ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। সর্বোচ্চ ভর্তুকি দেয়া হচ্ছে বিদ্যুৎ খাতে। বিদ্যুৎ উৎপাদনে ইউনিট প্রতি মূল্যের ঘাটতি বাবদ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)-কে দেয়া হবে ৯ হাজার ৫শ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে পিডিবি-কে দেয়া হচ্ছে ৯ হাজার ২শ কোটি টাকা। অর্থাৎ আগামী অর্থবছরে বিদ্যুৎ খাতে ৩শ কোটি টাকা ভর্তুকি বাড়ছে। এদিকে বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকি দেয়া হলেও জ¦ালানি তেল আমদানিতে তথা বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি)-কে কোনো অর্থ বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে না।
অন্যান্যের মধ্যে খাদ্য খাতে ৪ হাজার ৫শ কোটি টাকা ভর্তুকির প্রস্তাব করা হয়েছে। চলতি অর্থবছরে এ খাতে বরাদ্দের পরিমাণ হচ্ছে ৪ হাজার ৬০৪ কোটি টাকা। অর্থাৎ খাদ্য খাতে ভর্তুকি কমছে ১০৪ কোটি টাকা। এছাড়া অন্যান্য খাতে মোট ভর্তুকি রাখা হচ্ছে ৯ হাজার ৬শ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে এ খাতে মোট ৫ হাজার ৫শ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
জানা যায়, আগামী বাজেটে প্রণোদনা ও নগদ ঋণ খাতে বরাদ্দের কোনো হেরফের হচ্ছে না। চলতি অর্থবছরে প্রণোদনা বাবদ মোট ১৩ হাজার ৫শ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এর মধ্যে কৃষি খাতে ৯ হাজার কোটি টাকা, রপ্তানি খাতে নগদ সহায়তা বাবদ ৪ হাজার কোটি টাকা ও পাটজাত পণ্য খাতে ৫শ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। আগামী বাজেটেও এটি অপরিবর্তিত রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে।
এছাড়া নগদ ঋণ খাতে চলতি অর্থবছরের সমপরিমাণ অর্থ অর্থাৎ ৫ হাজর কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। সম্পাদনা : রেজাউল আহসান