১১৭ কোটি টন বালি অপসারণ না হওয়ায়, হুমকির মুখে ভারতীয় নৌ প্রটোকলভুক্ত মোংলা-ঘসিয়াখালী নৌ চ্যানেল
তরিকুল সুমন : ভারতীয় নৌ প্রটোকলভুক্ত মোংলা-ঘসিয়াখালী (২৬ কি.মি) নৌ চ্যানেলের ৮ থেকে ১২ ফুট গভীরতা নিশ্চিত করা হচ্ছে। পাশাপাশি বাণিজ্যিক জাহাজ চলাচলের জন্য এ নৌ পথ সারা বছর মেইনটেনেন্স ড্রেজিং করতে হয়। অথচ এ রুট ড্রেজিংয়ের উত্তোলিত বালি অপসারণ করা যাচ্ছে না। পাড়ে জমে থাকা এ বিপুল পরিমাণ বালি অপসারণ করা না গেলে ভবিষ্যতে বন্ধ হয়ে যেতে পারে বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ এ নৌ চ্যানেলটি।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীন নৌ পরিবহণ কর্র্র্র্র্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) ড্রেজিং বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (পুর) ছাইদুর রহমান জানান, প্রতি বছর এ রুটের ৪০ থেকে ৫০ লাখ ঘনমিটার বা ১ কোটি টন বালি অপসারণ করতে হয়। কিন্তু চ্যানেলের দুপাশে কোনো জায়গা নেই যেখানে ড্রেজিং স্পয়েল বা বালি ফেলা যায়। স্থানীয়দের অনুরোধ করেও কাজ হচ্ছে না। নিজ খরচে বালি নিয়ে যাওয়ার জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হলেও কোনো সাড়া মেলেনি। বেশ কয়েকটি জায়গায় ১২-১৪ ফিট উচু ডাইকে (বালি রাখার জায়গা) বালি রাখা হয়েছে। স্থানীয়রাও তাদের জমি দিচ্ছে না এ বালি রাখার জন্য।
স্থানীয় প্রশাসন ও বিআইডব্লিউটিএ সূত্র জানায়, ২০১৬ সালের ৩ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত চ্যানেল দিয়ে ১ লাখ ২০ হাজার জাহাজ চলাচল করেছে। এ চ্যনেলে গড়ে ১২ ফিট পানি রয়েছে। বর্তমানে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৬-৮ ফুট ড্রাফটের ৫০-৭০ টি এবং ১০-১৪ ফুট ড্রাফটের ৪০-৬০ টি কার্গো চলাচল করছে। বালি অপসারণ করা সম্ভব না হলে দু এক বছরের মধ্যে চ্যানলটি ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়বে।
মোংলা-ঘাষিয়াখালী চ্যানেলে পলি জমার হার কমাতে হলে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড এখানে টাইডাল বেসিন নির্মাণ করতে হবে। এছাড়াও বিভিন্ন খালগুলোর মুখ খোলাসহ খনন করা হলে মূল চ্যানেল সংরক্ষণ করা সম্ভব হবে। সম্পাদনা : ওমর ফারুক