বিশ্বে বেড়েছে নারীর আইনি অধিকার ও লিঙ্গ সমতার হার, বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন
নূর মাজিদ : বিশ্বব্যাংকের প্রস্তুতকৃত ‘ওমেন, বিজনেস অ্যান্ড ল ২০১৯’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে এই চিত্র তুলে ধরা হয়। যেখানে অনেক সামাজিক এবং অর্থনৈতিক বিষয়ে নারীর অগ্রগতির বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এসব উন্নতির জন্য বাধা পেলে তারা পর্যাপ্ত আইনি সহায়তা পাচ্ছেন কিনা সেটাও ছিলো বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে। ওয়ার্ল্ডব্যাংক ব্লগ।
নারীর উন্নয়নের বৈশ্বিক চিত্র : গত এক দশক জুড়েই বিশ্বে নারীর প্রতি বৈষম্য অনেকটাই দূর হয়েছে। ১০ বছর আগে এইক্ষেত্রে বৈশ্বিক গড় স্কোর ছিলো ৭০ দশমিক ৬৬। এরপর থেকেই বিশ্বের ১৩১টি দেশ ২৭৪টি আইনি সংশোধনী প্রণয়ন করে লিঙ্গ বৈষম্য কমিয়ে আনার পদক্ষেপ নেয়। যার কারণে সাম্প্রতিক প্রতিবেদনের বৈশ্বিক গড় স্কোর ৪ দশমিক ৬৫ শতাংশ বেড়ে ৭৪ দশমিক ৭১ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। একে একটি বড় অর্জন বলছে বিশ্বব্যাংক। যদিও, এর মানে হলো এখনো বেশিরভাগ নারী পুরুষের তুলনায় তিন-চতুর্থাংশ আইনি অধিকার পান।
অঞ্চলভিত্তিক চিত্র : উন্নত দেশগুলোর অর্থনৈতিক জোট ওইসিডিভূক্ত দেশগুলোতে নারীদের অর্থনৈতিক অবস্থান সবচাইতে ভালো। এখানে তারা অর্থনৈতিক সক্ষমতার দিক দিয়ে ৯৩ দশমিক ৫ স্কোর অর্জন করেছেন। ২০০৯ সালে এই স্কোর ছিলো ৯০।
এরপরেই অবস্থান করছেন ইউরোপ এবং মধ্য এশিয়ার নারীরা। তাদের স্কোর ৮৪ দশমিক ৭। এক দশক আগে যা ছিলো ৮০ দশমিক ১। তৃতীয়স্থানে রয়েছেন ক্যারিবিয় এবং ল্যাটিন আমেরিকার নারীরা। তাদের চলতি স্কোর ৭৯ দশমিক ১। ২০০৯ সালে যা ছিলো ৭৫ দশমিক ৪।
‘ওমেন, বিজনেস অ্যান্ড ল ২০১৯’ ইনডেক্সের সার্বিক অঙ্গসমূহ
এই গবেষণায় বিশ্বজুড়ে নারীর কর্মজীবন, যা তাদের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার জন্যে ভূমিকা রাখে যেমন, চাকরির জন্য ভ্রমণ, চাকুরি শুরু করা, পারিশ্রমিক, বিয়ে করা, সন্তান ধারণ ও প্রতিপালন, ব্যবসা পরিচালনা, স¤পদ ব্যবস্থাপনা এবং অবসর ভাতা প্রাপ্তিকে রাখা হয়েছে।
যেমন, একজন নারী একটি ভালো চাকরির ইন্টার্ভিউ বা পরীক্ষায় যোগ দিতে পারেন কিনা? যদি সেটা করতে সক্ষম হন এবং চাকরিটি পেয়েও যান তবে পরবর্তীতে তাকে কি দা¤পত্য জীবন বা সন্তান প্রতিপালনের জন্য চাকরিটি ছেড়ে দিতে হবে? এসব প্রশ্ন প্রাধান্য পেয়ছে। এইক্ষেত্রে নারী ওই নারী যদি চাকরি করতে ইচ্ছে পোষণ করেন, তবে সেই ক্ষেত্রে তিনি দেশ বা সমাজভেদে কতটুকু আইনি সহায়তা পেয়ে থাকেন সেই বিষয়টিকেও বিবেচনায় নেয়া হয়েছে।
তবে প্রতিবেদনের সার্বিক ফলাফলে বিশ্বব্যাংক বলছে, ধীরে ধীরে হলেও বিশ্বে নারীর প্রতি লিঙ্গ বৈষম্যেও হার কমছে এবং তাদেও আইনি সহায়তা পাওয়ার হার বাড়ছে। এক্ষেত্রে বেসরকারি খাতের এনজিও, মানবাধিকার গোষ্ঠী ও বুদ্ধিজীবী সমাজ গঠনমূলক অবদান রাখতে সমর্থ হচ্ছেন। সম্পাদনা : ইকবাল খান