বিডিনিউজ : জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশি কূটনীতিকদের ‘ভুলে’ এজাত্তরে পঁচিশে মার্চের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আসেনি বলে মন্তব্য করেছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। তিনি আফসোস করে বলেছেন, ২০১৭ সালে জাতিসংঘ যখন আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেয়, তখন দেশের কূটনীতিকরা পঁচিশে মার্চের গণহত্যার প্রেক্ষাপট ‘সঠিকভাবে তুলে ধরতে পারেননি’। জাতীয় প্রেসক্লাবে রোববার ‘একাত্তরের ২৫ মার্চের গণহত্যা ও আমাদের ভাবনা’ শীর্ষক এক সেমিনারে মোজাম্মেল হকের এ মন্তব্য করেন। জাতিসংঘের ঘোষণা অনুযায়ী প্রতিবছর ৯ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক ‘গণহত্যা দিবস’ পালিত হয়। অন্যদিকে বাংলাদেশ একাত্তরের ২৫ মার্চ পাকিস্তানি বাহিনীর চালানো গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির দাবি জানিয়ে আসছে।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, আমাদের মুখ্য সুযোগ ছিল ২০১৭ সালে। তখন জাতিসংঘের ভুল সংশোধনের জন্য কূটনীতিকরা সেভাবে প্রতিবেদন উপস্থাপন করতে পারেননি। তবে সরকার এখন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ২৫ মার্চের গণহত্যা বিষয়ে সারা বিশ্বে জনমত গঠনে কাজ করছে বলে জানান মন্ত্রী।
মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে যারা বিতর্ক তোলেন, তাদের সতর্ক করে দিয়ে মোজাম্মেল বলেন, প্রতিষ্ঠিত সত্যকে যারা ‘বিতর্কিত’ করতে চান রাষ্ট্রীয়ভাবে তাদের বিচার হওয়া উচিত। একাত্তরে মুজিবনগর সরকারের বিরোধিতায় খোন্দকার মোশতাক, জিয়াউর রহমানের ভূমিকা প্রকাশে একটি ‘ট্রুথ কমিশন’ গঠন করা হবে বলে জানান আ ক ম মোজাম্মেল হক। বিসিএসে মুক্তিযুদ্ধের পূর্বাপর ইতিহাস নিয়ে ১০০ নম্বরের প্রশ্নপত্র প্রণয়ন, স্কুল পর্যায়ে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পাঠ বাধ্যতামূলক করতে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে। সম্পাদনা : ইয়াছির আরাফাত ও রেজাউল আহসান