সান্দ্রা নন্দিনী : একদিনের জন্য ব্রেক্সিট সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার নিয়ন্ত্রণ চলে গেছে ব্রিটিশ এমপি’দের হাতে। ব্রিটিশ পার্লামেন্টের চালকের আসনটি প্রধানমন্ত্রীকে টপকে আইনপ্রণেতাদের আওতায় চলে যাওয়া দেশটির ইতিহাসে একটি অভূতপূর্ব ঘটনা। রয়টার্স, সিএনএন, বিবিসি।
সোমবার পার্লামেন্টে তোলা একটি অ্যামেন্ডমেন্টের(সংশোধনি) ওপর ওঠা ভোটে ব্রিটিশ সরকারকে ৩২৯-৩০২ ব্যবধানে হারিয়ে পার্লামেন্টের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেওয়ার পথ সুগম করেন এমপি’রা। এতে, আজ বুধবার পার্লামেন্টে ব্রেক্সিট ইস্যুতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া একাধিক বিকল্প প্রস্তাবের ওপর ভোটের নিয়ন্ত্রণ চলে যাবে তাদের হাতে।
উল্লেখ্য, এদিন ব্রিটিশ এমপি’রা ৭টি বিকল্প প্রস্তাবের ওপর ভোট দিতে পারবেন। প্রস্তাবগুলোর মধ্যে, দ্বিতীয় গণভোট, চুক্তিবিহীন ব্রেক্সিট, ইউরোপীয় ইউনিয়ন-ইইউ’র সাথে ‘নরওয়ে স্টাইল চুক্তি’ ইত্যাদি প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটি হবে। এরমধ্যে নরওয়ে স্টাইল চুক্তি হলো, ইইউ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরও যুক্তরাজ্য ইউরোপের সিঙ্গেল মার্কেট ও ইউরোপিয়ান ফ্রি ট্রেড অঞ্চলে অবাধ প্রবেশাধিকার পাবে।
যদিও, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী মে বলেছেন, এর কোনও নিশ্চয়তা নেই যে এমপি’দের সিদ্ধান্তই মেনে নেবেন তিনি। তার মতে, পার্লামেন্টের এজেন্ডার ওপর আসন্ন ভোটে এমপি’দের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার ঘটনা একটি ‘আনওয়েলকাম’ নজির স্থাপন করেছে।
লেবার পার্টি নেতা জেরেমি করবিন অ্যামেন্ডমেন্ট’র পক্ষে সমর্থন দিয়ে বলেন, ‘সরকারকে অবশ্যই বিষয়টিতে আরও অনেকবেশি সিরিয়াস হতে হবে। তারা ইতোমধ্যেই পরাজিত হয়েছে এবং আমি বিশ^াস করি হাউজ এবার সফল হবেই। এমপি’রা সামনে এগিয়ে যাওয়ার মত ঐকমত্যের উপায় খুঁজে বের করবেন।’
অন্যদিকে, সোমবার তিনজন মন্ত্রী থেরেসা মে’র সরকার থেকে পদত্যাগ করেছেন। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলিস্টেয়ার, স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্টিভ ব্রিন ও বাণিজ্যমন্ত্রী রিচার্ড হারিংটন টুইটারে তাদের পদত্যাগের খবর জানান। এমপি’দের ওপর ব্রেক্সিট ইস্যুতে মে’র অতি নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি মেনে নিতে না পারায় পদত্যাগ করেছেন বলে জানান তারা। উল্লেখ্য, কনজারভেটিভ পার্টির অন্তত ৩০ সদস্য সোমবার এমপি’দের নিয়ন্ত্রণে পার্লামেন্ট চলে যাওয়ার ওপর ভোটে মে’র বিপক্ষে অবস্থান নেন। সম্পাদনা : ইকবাল খান