আসিফুজ্জামান পৃথিল : ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে’র ব্রেক্সিট পরিকল্পনায় তৃতীয়বারের মতো ভোট দিয়েছেন ব্রিটিশ এমপিরা। বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। তবে এই সংবাদ লেখার সময় এই ভোটের ফলাফল জানা যায়নি। বিবিসি, সিএনএন, গার্ডিয়ান। সব কিছু প্রধানমন্ত্রী থেরেসার পরিকল্পনা মতো চললে শুক্রবারই স্থানীয় সময় রাত ১১টা ৫৯ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় শনিবার ভোর ৫টা ৫৯) ইউরোপিয় ইউনিয়ন থেকে বের হয়ে যেতো যুক্তরাজ্য। কিন্তু বিভিন্œ কারণে সেই পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়েছে। এদিন ব্রেক্সিট রক্ষায় শুধুমাত্র থেরেসার চুক্তির ‘উইথড্রয়াল এগ্রিমেন্টের’ উপরেই ভোটাভুটি হয়। এই ভোটাভুটিকে ব্রেক্সিট রক্ষার জন্য শেষ সুযোগ বলে মনে করছে ব্রিটিশ সরকার।
ব্রিটিশ অ্যাটর্নি জেনারেল বলেছেন ২২ মে’র মধ্যে ইউরোপিয় ইউনিয়ন থেকে বের হয়ে যেতে চাইলে এটিই এমপিদের সামনে শেষ সুযোগ। এই ভোটাভুটিতে জয় পেতেই শুধু উইথড্রয়াল এগ্রিমেন্টটি রাখা হয়েছে। এতে রয়েছে বের হয়ে যাওয়ার শর্তাবলী। লেবার পার্টি বলছে রাজনৈতিক ঘোষণাটি আলাদা করায় এখন এমপিদের অন্ধের মতো ভোট দিতে হবে।
সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন দিনের শুরুতেই ঘোষণা দিয়েছিলেন, তিনি থেরেসার ‘বাজে চুক্তিটিকে’ সমর্থন করবেন। তিনি টুইটারে লেখেন, ‘আজই সেদিন যেদিন আমরা ইউরোপ ত্যাগের বিষয়ে জনগনকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। তিক্ততার সঙ্গে জানাচ্ছি আমরা সেটা পারিনি। এর বদলে আমরা আজ উইথড্রয়াল এগ্রিমেন্টের উপর ভোট দেবো। আমি এই চুক্তির সবসময়ের সমালোচক। কিন্তু আমাদের এখন একটি সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আমাদের একটি অপশন বেছে নিতে হবে যার অস্তিত্ব আছে। তাই আমি এই চুক্তিটিকে সমর্থন করতে যাচ্ছি।’ তবে কনজারভেটিভ দলের শরিক ডিইউপি’র নেতা আরলেন ফোসটার জানিয়েছেন তার দল এই চুক্তিকে সমর্থন করবে না। এই গুরুত্বপূর্ন ভোটাভুটি নিয়ে সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে লন্ডনজুড়েই তুমুল উত্তেজনা বিরাজ করছিলো। লন্ডনের একটি বড় অংশ জুড়ে সারাদিন চলেছে বিক্ষোভের প্রস্তুতি। সম্পাদনা : ইকবাল খান