বাংলাদেশের সাফল্য ছোঁয়ার স্বপ্নও দেখতে পারে না পাকিস্তান
আসিফুজ্জামান পৃথিল : এই বছর স্বাধীনতার ৫০তম বছরে পা দিয়েছে বাংলাদেশ। অস্বীকারের সুযোগ নেই, ১৯৭১ সালের পর থেকে লম্বা পথ পারি দিতে হয়েছে দেশটিকে। ৯ মাসের যুদ্ধে হারিয়েছে ৩০ লাখ অধিবাসীর প্রাণ ও ১ কোটি মানুষ হয়েছিলেন বাস্তুহারা। আড়াইলাখ নারী হয়েছেন ধর্ষণের শিকার। নিয়মিত ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পরা দেশটির জন্য নিজেদের পা শক্ত করা কঠিন ছিলো। কিন্তু বাংলাদেশ সফলতার সঙ্গেই তা পেরেছে। এ পর্যায়ে দেশটি এমন এক স্থানে পৌঁছেছে যার কথা পাকিস্তান স্বপ্নেও ভাবতে পারবে না। এসব কথা উঠে এসেছে ভারতের প্রভাবশালী দৈনিক টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক নিবন্ধে।
১৯৭১ সালে পাকিস্তানের পূর্বাংশটি পশ্চিমের চেয়ে অনেক বেশি দরিদ্র ছিলো। আজকের বাংলাদেশিরা পাকিস্তানীদের সমান ধনী এবং খুব অল্পদিনেই তারা পাকিস্তানীদের চেয়ে বেশি ধনী হবেন। তবে বাংলাদেশীরা যদি পরিসংখ্যানে বিশ^াসী হন, তবে এটি ইতোমধ্যেই ঘটে গেছে। গত বছর বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির হার ছিলো ৭.৮ শতাংশ। সে তুলনায় পাকিস্তানের ছিলো ৫.৮ শতাংশ। বাংলাদেশের বৈদেশিক রিজার্ভ যেখানে ৩ হাজার ২০০ কোটি ডলার, সেখানে পাকিস্তানের ৮০০ কোটি ডলার। বাংলাদেশের মোট রপ্তানিমূল্য ৩ হাজার ৫৮০ কোটি ডলার আর পাকিস্তানের ২ হাজার ৪৮০ কোটি ডলার।
বাংলাদেশ জন্মের পূর্ব মুহুর্তে তাদের পিছিয়ে দিতে সম্ভাব্য সবকিছুই করেছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী। দেশীয় দোসরদের সঙ্গে নিয়ে হত্যা করা হয়েছিলো বুদ্ধিজীবিদের। এই জঘন্য ঘটনায় বাঙালিরা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও উদ্যম হারায়নি। বরং নিজেদের চেষ্টায় ভস্ম থেকে জেগে উঠেছে। বাংলাদেশিরা সারাবছর নানাভাবে তাদের পুর্বপুরুষ যারা শহীদ হয়েছিলেন তাদের স্বরণ করে। কিন্তু বাংলাদেশ সবচেয়ে বড় শ্রদ্ধাঞ্জলিটি জানাচ্ছে ভিন্ন এক পদ্ধতিতে, অর্থনৈতিক উন্নয়নের মাধ্যমে। সম্পাদনা : মোহাম্মদ রকিব