বাজারে খাতভিত্তিক আরও সূচক দরকার
আবুল বাশার
আমাদের পুঁজিবাজারের মূল সূচক মাত্র একটি, সেটা হচ্ছে ডিএসইএক্স। আর বাকি দুই সূচক তেমন কেউ অনুসরণ করে না। ডিএসইএক্স সূচকের বড় সমস্যা হচ্ছে যখন বড় মৌলভিত্তির কোম্পানি, বিশেষ করে ইউনাইটেড পাওয়ার ও গ্রামীণফোনসহ আরও কিছু মৌলভিত্তির কোম্পানির দাম ২০ থেকে ৩০ শতাংশ বাড়ে, তখন অন্য কোম্পানির শেয়ারদর খুব বেশি কমলেও সূচকের তেমন প্রভাব পড়ে না। একটা মাত্র সূচক থাকার কারণে বাজারের আসল চিত্র বোঝা যায় না। এখন মনে হচ্ছে বাজারের আরও সূচক থাকা দরকার। বিশেষ করে বড় বড় খাতভিত্তিক। না হলে বাজারের সঠিক চিত্র পাওয়া যাবে না।
পুঁজিবাজার দীর্ঘদিন ধরে নি¤œগতিতে রয়েছে। এখন বাজার গতিশীল হোকÑসেটাই প্রত্যাশা বিনিয়োগকারীর। ২০১১ থেকে ২০১৩ ও ২০১৪ সালে বাজারে কিছুটা গতিশীলতা ছিল। কিন্তু ২০১৪-১৮ সালের শুরু থেকে বাজার পতনের দিকে যাচ্ছে। বাজারের একটি নিজস্ব ধর্ম রয়েছে। সে তার নিজস্ব গতিতে চলবেÑএটি ঠিক।
কিন্তু এখন বাজার সঠিক অবস্থানে নেই। এমন কোনো ইতিবাচক দিক নেই যেটি দেখে বলা যায়, বাজার ভালো অবস্থানে রয়েছে। আবার আমরা বলে থাকি, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের সঙ্গে বাজারও গতিশীল হবে। আসলে সব সময় অর্থনৈতিক উন্নয়নের সঙ্গে বাজার সমন্বয় করে চলে না। এর প্রতিফলন এখন বাজারে দেখা যাচ্ছে। টেকনিক্যাল অ্যানালিস্ট করে বলা যায়, ব্যাংক খাতের কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দাম লভ্যাংশ ঘোষণা ও রেকর্ড ডেটের আগ পর্যন্ত এ রকম অবস্থায় থাকবে। তবে শেয়ারের দাম সামান্য বাড়তে বা কমতে পারে। তবে লভ্যাংশ ঘোষণা ও রেকর্ড ডেটের পর শেয়ারগুলোর বিক্রির চাপ বাড়বে। আবার কয়েক বছর ধরে আর্থিক খাতের কোম্পানিগুলোর তেমন টার্নওভার নেই। অর্থাৎ এখন আর্থিক খাতের কোম্পানিগুলো নাজুক অবস্থায় রয়েছে। ২০১৭ সালে আর্থিক খাতের শেয়ারের দাম গতিশীল ছিল। এখন কিন্তু আর্থিক খাত যে অবস্থানে রয়েছে, এখান থেকে সামনে ভালো হবে, তার কোনো সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। বাজার এখন ভালো অবস্থানে নেই। একে স্বাভাবিক বাজার বলা যায় না। আসলে বাজার যদি ভালো না থাকে, সেক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীরা কেন আসবেন? অর্থাৎ খারাপ বাজারে বিনিয়োগকারীদের কোনো চাহিদা নেই। তাই বাজারের এরকম অবস্থা। আবার বাজারের মূল সূচক মাত্র একটি ডিএসইএক্স। আর বাকি সূচক দুটি তেমন কেউ অনুসরণ করেন না। ডিএসইএক্স সূচকের বড় সমস্যা হচ্ছে যখন বড় মৌলভিত্তির কোম্পানি বিশেষ করে ইউনাইটেড পাওয়ার ও গ্রামীণফোনসহ আরও কিছু মৌলভিত্তির কোম্পানির দাম ২০ থেকে ৩০ শতাংশ বাড়ে, তখন অন্য কোম্পানির শেয়ার খুব বেশি কমলেও সূচকের তেমন কোনো প্রভাব পড়ে না।
তাই একটি মাত্র সূচক থাকায় বাজারের আসল চিত্র বোঝা যায় না। এখন মনে হচ্ছে, বাজারে আরও সূচক থাকা দরকার। আসলে এগুলো করা উচিত; তা না হলে বাজারের সঠিক চিত্র পাওয়া যাবে না।