মুনাফা ও যন্ত্রপাতি আমদানিতে কর মওকুফ চায় বিপিএমসিএ
রমজান আলী : বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএমসিএ) সংগঠনের সভাপতি এমএম মুবিন খান বলেন, সরকারে এসডিজি অর্জনের লক্ষ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে স্বাস্থ্য খাত। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গবেষণা অনুসারে বর্তমানে দেশে ১ লাখ ৬০ হাজার চিকিৎসক প্রয়োজন। কিন্তু বাস্তবে সরকারি বেসরকারি মিলে আছে মাত্র ৮০ হাজার চিকিৎসক। এখনও ৮০ হাজার চিকিৎসকের প্রয়োজন। এই সিটগুলো ফাঁকা রয়েছে।
গতকাল রাজধানীর সেগুন বাগিচায় জাতীয় রাজস্ব র্বোডের (এনবিআর) কনফারেন্স কক্ষে প্রাকবাজেট আলোচনা সভায় এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আর এই সিটগুলো পূরণের লক্ষ্যেই আমরা টিচার্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল তৈরি করেছি। সরকারি নীতিমালা অনুসারে, এই প্রতিষ্ঠানগুলো অলাভজনক। পাশাপাশি এখানে ২৫ শতাংশ গরিবদের পড়াশোনা করা হয়। সুতরাং এটি স্কয়ার, অ্যাপোলোর মতো জেনারেল হাসপাতাল না।
তিনি বলেন, কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো, তারপর ২০১১ সাল থেকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানের মতোই ১৫ শতাংশ হারে আয়কর দিতে হচ্ছে ৬৭টি মেডিকেল কলেজকে। আমরা দেশের বৃহত্তম স্বার্থে, ভালো চিকিৎসক তৈরিতে ১৫ শতাংশ আয়কর অব্যাহতি প্রদানের জন্য প্রস্তাব করছি।
তিনি বলেন, বর্তমানে প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ ৬৫ শতাংশ সেবা দিয়ে থাকে। তাদেরকে সহযোগিতার জন্য প্রতিবছর ছয় হাজার চিকিৎসক তৈরি করি। অথচ একই সময় সরকারিভাবে তৈরি হয় সাড়ে তিন হাজার চিকিৎসক। তারপরও মেডিকেল কলেজের যন্ত্রপাতি আমদানিতে ২২ থেকে ২৫ শতাংশ শুল্ক দিতে হচ্ছে। এটা সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের দাবি করছি।
তাদের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে এনবিআরের চেয়ারম্যান বলেন, আপনাদের বিষয়টি বিবেচনা করবো। যেসব দাতব্য প্রতিষ্ঠান একেবারে ফ্রি সেবা দিয়ে থাকে তাদের কাছ থেকে আমরা কোনো কর নেই না। যারা সেবার নামে ব্যবসা করে তাদের কাছ থেকে কর নেই। আশা করছি, আপনারা ক্যাপিটাল মেশিনারিজ আমদানিতে সুবিধা পাবেন।
আগামীতে চিকিৎসক ও আইনজীবীদের নৈতিকভাবে আয়কর দেয়ার জন্য চিঠি দেয়া হবে বলেও জানান এনবিআরের চেয়ারম্যান।
এনবিআরের চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে সভায় বোর্ডের একাধিক সদস্য এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। আর সংগঠনের পক্ষ থেকে উপদেষ্টা ডা. মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক প্রীতি চক্রবর্তী, সাংগঠনিক সম্পাদক হাবিবুল হক এবং অর্থ সম্পাদক ইকরাম হোসেন বিজু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সম্পাদনা : রেজাউল আহসান