কনজারভেটিভ পার্টিতে তীব্র ক্ষোভ, মন্ত্রীর পদত্যাগ ব্রেক্সিট ইস্যুতে করবিনের দ্বারস্থ থেরেসা
আসিফুজ্জামান পৃথিল : ব্রেক্সিট অচলাবস্থা কাটাতে পরামর্শ নিতে বিরোধী দলীয় নেতা জেরেমি করবিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। করবিনের সহায়তা চেয়ে আলোচনার প্রস্তাব দিলেই ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টিতে ছড়িয়ে পরে তীব্র ক্ষোভ। প্রতিবাদে পদত্যাগ করেছেন এক জুনিয়র মন্ত্রী। লন্ডন স্থানীয় সময় দুপুর আড়াইটায় (বাংলাদেশ সময় রাতে) এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বিবিসি,সিএনএন, গার্ডিয়ান, ডেইলি মেইল। বুধবার পার্লামেন্টের প্রশ্নোত্তর পর্বে নিজ দলের এমপিদের তোপের মুখে পড়েন প্রধানমন্ত্রী থেরেসা। নিজের বিচ্ছেদচুক্তি রক্ষায় বিরোধী নেতার সহায়তা কামনাতেই মূলত ক্ষোভে ফেটে পড়েন তারা। এর আগেই জানা গিয়েছিলো ক্ষমতাসীন টোরি পার্টিতে বিভক্তি চলছে। এদিন থেরেসার এক ঘোষণাতেই বিভক্তি স্পষ্ট হয়ে উঠে। ব্রেক্সিটার ক্যারোলিন জ্যাকসন প্রধানমন্ত্রী থেরেসার প্রতি প্রশ্ন রেখেছেন, চুক্তিহীন ব্রেক্সিট হলে যুক্তরাজ্য অধিক ক্ষতির মুখে পড়বে, নাকি মাক্সিস্ট, অ্যান্টি-সেমেটিক সরকার ক্ষমতায় এলে যুক্তরাজ্যের অধিক ক্ষতি হবে। জুলিয়ান লাইস প্রশ্ন রেখেছেন, যেই প্রধানমন্ত্রী বারবার বলছেন, খারাপ চুক্তির চেয়ে চুক্তিহীন ব্রেক্সিট উত্তম, তিনি কেনো ব্রেক্সিটের বিষয়ে লেবারদের সঙ্গে কথা বলবেন। লি রাওলি বলেছেন, মাত্র ১ সপ্তাহ আগে থেরেসা যেই করবিনকে হুমকি বলে ঘোষণা কিেছলেন, সেই তিনিই কেনো ব্রেক্সিটের জন্য তার দ্বারস্থ হলেন। বুধবার সকালে নরৈবার পার্টিকে একটি চিঠি দেন থেরেসা। সেখানে তিনি বলেছিলেন, বিরোধীদের সহায়তা ছাড়া ব্রেক্সিট অচলাবস্থা কাটিয়ে উঠা সম্ভব নয়।
শুধু করবিন নয়, এসএনপির ফার্স্ট মিনিস্টার নিকোলা স্টারজেন এবং ওয়েলস এর ফাস্ট মিনিস্টার মার্ক ড্রেকফোর্ডের সঙ্গেও দেখা করেন থেরেসা। করবিন বেশ কয়েকজন লেবার নেতাকে সঙ্গে করে ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটে যান। তারা হলেন, ছায়া ব্রেক্সিট মন্ত্রী কেয়ার স্ট্রিমনার, ছায়া বাণিজ্যমন্ত্রী রেবেকা লঙ-বেইলি এবং চিফ হুইপ নিক ব্রাউন। সম্পাদনা : ইকবাল খান