এনবিআর চেয়ারম্যান বললেন, আসন্ন বাজেটে সুবিধা দিলেই দেশিয় শিল্পখাতে বিনিয়োগ বাড়াবে
শহিদুল ইসলাম: জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেছেন, দেশি শিল্পখাতে আরও বিনিয়োগ বাড়াতে অতীতের মতো আসন্ন বাজেটেও দেশি শিল্পকে সুবিধা দিতে হবে। এটি অব্যাহত থাকলে দেশের মানুষ শিল্পায়নে আগ্রহী হবে। এর ফলে বিনিয়োগের মাত্রও বাড়তে থাকবে। গতকাল বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম চেম্বার আয়োজিত ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের প্রাকবাজেট মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, দেশে স্মল ও মিডিয়াম ইন্ডাস্টির দিয়ে শিল্পায়ন শুরু হয়েছে। এখন বিভিন্ন স্থানে বৃহৎ শিল্পও গড়েউঠছে। বর্তমানে শিল্পায়নে আগ্রহ বাড়ছে। এই কয়েক বছর ধরে বাজেটে শিল্পকে সুবিধা দেয়া হচ্ছে। এটি অব্যাহত থাকলে মানুষ শিল্পায়নে আগ্রহীর পাশাপাশি নতুন নতুন কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে এবং তরুণ উদ্যোক্তারা শিল্পের প্রতি আস্থাশীল হবে। চলতি বাজেট ৪ লক্ষ ৬৪ হাজার কোটি টাকার। আগামী বাজেট প্রায় ৫ লক্ষ কোটি টাকা।
তিনি বলেন, জনসংখ্যা আমাদের সম্পদ হয়েছে। তুলনামূলক এদেশে সস্তা শ্রম। আবার শ্রমিকদের নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের ক্রয়ক্ষমতা বাড়ছে। ‘আশির দশক থেকে তৈরি পোশাক শিল্প ভালোভাবে এগোচ্ছে। আমরা আয়কর বাড়াতে চাই। কাস্টম শুল্কের ওপর কম গুরুত্ব দিচ্ছি। ব্যাংকের কাছ থেকে আগের তুলনায় সরকার ঋণ কম নিচ্ছে। কর ও ভ্যাটের আওতা বাড়াতে হবে। গ্রামের অনেক ব্যবসায়ী করের আওতার বাইরে। ব্যবসায়ীদের অটোমেশনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। সমুদ্রবন্দর ও বিমানবন্দরে স্ক্যানিং মেশিনের ওপরও জোর দিচ্ছে সরকার। ‘জাতীয় আয়ে শিল্পের অবদান ৩৩ শতাংশে উন্নীত হয়েছে সরকারের সহায়তার কারণে। এখনো অনেক সম্ভাবনা আছে। তাই সরকার বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলছে। ঢালাওভাবে ৮-১০ বছর ধরে ক্যাপিটাল মেশিনারির ওপর শুল্ক সুবিধা দিয়ে আসছে। আমরা দেশে গাড়ির সংযোজন চাই না, উৎপাদন চাই, কর্মসংস্থান চাই।’ তিনি বলেন, বাজেট প্রণয়নের আগে ব্যবসায়ীদের চাহিদা জানার জন্য মতবিনিময় করা হয়। সব প্রস্তাব হয়তো বাস্তবায়ন করতে পারি না। কিছু বাস্তবায়ন হয়। আমরা এমন কিছু করবো না যাতে শিল্প মালিক, ব্যবসায়ী, ভোক্তা ও দেশ ক্ষতিগ্রস্থ হয়। চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলমের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন এনবিআর সদস্য ফিরোজ শাহ আলম, কানন কুমার রায়, সৈয়দ গোলাম কিবরীয়া প্রমুখ।