বিশ্বের শীর্ষ পাঁচ ধনী পরিবার
আবুল বাশার
ব্যক্তিগত আর্থিক অবস্থা যা-ই হোক না কেন, ফিন্যান্স ও অর্থনীতির জটিল বিষয় নিয়ে মাথা ঘামানোর চেয়ে অতি ধনীদের খবরাখবর রাখা নিঃসন্দেহেই অনেক বেশি আকর্ষণীয়, হোক তা শ্রদ্ধা, ঈর্ষা বা ক্ষোভ থেকে। আরো নিশ্চিত করে বলা যায়, ধনী পরিবারগুলোর প্রতি আকর্ষণ আসলে একটি সংস্কৃতির প্রতিফলন, যেখানে সম্পদের মোহ রয়েছে এবং ধনীরা যেখানে তারকাখ্যাতি পান। শীর্ষ ব্যবসায়ীরা তারকাই বটে। হয়তো এটা ভেবে সাধারণ ব্যক্তিরা সান্তনা পান যে প্রতিটি দৈত্যাকার করপোরেশনের পেছনে একজন জীবন্ত মানুষই রয়েছে, যেমন অ্যামাজন মানে বেজোস, ফেসবুক মানে জাকারবার্গ, ওয়ালমার্ট মানে দ্য ওয়ালটনস। নিচে বিশ্বের শীর্ষ পাঁচটি ধনী পরিবারের একটি তালিকা দেয়া হলো, যারা ব্যবসার মাধ্যমে ভাগ্য পরিবর্তন করেছে। ২০১৮ সালের শেষ থেকে চলতি বছরের প্রথমদিকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে এ তালিকা করা হয়েছে।
কার্ল ও থিও আলব্রেখট জুনিয়র এবং বেয়াটি হেইস্টার (আলদি) : জার্মানির ওয়ালমার্ট হলো আলদি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর দুই ভাই কার্ল ও থিও আলব্রেখট তাদের মা-বাবার মুদি দোকানকে একটি জাতীয় ডিসকাউন্ট চেইনে রূপান্তর করেন। পুরো বিশ্বে চেইনটির বর্তমানে প্রায় ১০ হাজার দোকান রয়েছে। শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই প্রায় দুই হাজার স্থানে আলদির চেইন শপ রয়েছে। ১৯৬১ সালে দুই ভাই অঞ্চল ভিত্তিতে কোম্পানি ভাগ করে নেন। কার্লের ভাগে পড়ে দক্ষিণ জার্মানির পাশাপাশি যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়ার ব্র্যান্ড স্বত্বাধিকার এবং থিও পান উত্তর জার্মানি ও ইউরোপের দায়িত্ব। ২০১৪ সালে মৃত্যুকালে জার্মানির শীর্ষ ধনী ছিলেন কার্ল। ২০১৯ সালে ফোর্বসের বার্ষিক বিলিয়নেয়ার তালিকায় ২৩তম স্থানে। তাদের নিট সম্পদের পরিমাণ ৩ হাজার ৬১০ কোটি ডলার। অন্যদিকে থিও জুনিয়র ও তার পরিবারের সম্পদের পরিমাণ ১ হাজার ৭৪০ কোটি ডলার।
দুমা পরিবার (এহমেস) : ফরাসি ফ্যাশন হাউজ ও বিলাসবহুল পণ্যের পাইকারি বিক্রেতা এহমেস নিজেদের সিগনেচার স্কার্ফ, নেকটাই ও সুগন্ধি দিয়ে পুরো বিশ্বকেই চমকে দিয়েছে।
এর সঙ্গে রয়েছে আইকনিক কেলি ও বার্কিন হাতব্যাগ। উনিশ শতকে থিয়েরি এহমেস অভিজাতদের জন্য ফ্যাশনেবল রাইডিং পোশাক নিয়ে আসেন। বর্তমানে বাস্কেটবল তারকা লেব্রন জেমসের পোশাকসজ্জার দায়িত্বে রয়েছে কোম্পানিটি। পুরনো ধারা আর নব্য প্রযুক্তির মিশেলে এহমেসের বিশেষায়িত অ্যাপল ঘড়িগুলো ১ হাজার ৩০০ থেকে ২ হাজার ডলার বা এর থেকেও বেশি দামে বিক্রি হয়। বর্তমানে কোম্পানিটির সিইও ও চেয়ারম্যান অ্যাক্সেল দুমা এবং শিল্প পরিচালকের দায়িত্বে রয়েছেন পিয়ের-আলেক্সিস দুমা।