বিশ্ববাজার থেকে অব্যাহতহারে স্বর্ণ কিনছে চীন
নূর মাজিদ : এশিয়ার শীর্ষ অর্থনীতি চীন টানা চতুর্থ মাসের ন্যায় তাদের স্বর্ণ মজুদের পরিমাণ বাড়িয়েছে। যার কারণে দু¯প্রাপ্য সোনালী ধাতুটির বৈশ্বিক বিনিয়োগকারীরা এর দরবৃদ্ধির বিষয়ে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। তাদের ধারণা, বৈশ্বিক কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর স্বর্ণক্রয়ের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায়, ধাতুটির দামও অনেক চড়বে। চীনের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গত মার্চের স্বর্ণ ক্রয়ের তথ্য প্রকাশের পর গতকাল বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ছিলো ১ হাজার ৩শ মার্কিন ডলার। স্বর্ণ বাজারের বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে একমত পোষণ করে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ বিনিয়োগ ব্যাংক গোল্ডম্যান স্যাক্স। গত রোববার চীনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিজস্ব ওয়েবসাইটে তাদের মার্চের স্বর্ণ মজুদের পরিমাণ প্রকাশ করার পড়ে এমন অভিমত দিয়েছে গোল্ডম্যান স্যাক্স। ব্লুমবার্গ।
চীনা কেন্দ্রীয় ব্যাংক বা পিপলস ব্যাংক অব চায়না জানায়, মার্চে তাদের মজুদে থাকা স্বর্ণের পরিমাণ ৬ কোটি ৬ লাখ ২ হাজার আউন্সে উন্নীত হয়। যা ফ্রেব্রুয়ারিতে ছিলো ৬ কোটি ২ লাখ ৬০ হাজার আউন্স। টনের হিসেবে, গত মাসে ১১ দশমিক ২ টন স্বর্ণ কিনেছে পিপলস ব্যাংক। অন্যদিকে, ফ্রেব্রুয়ারিতে কিনেছিলো ৯ দশমিক ৫ টন। জানুয়ারির ক্রয় পরিমাণ ছিলো ১১ দশমিক ৮ টন এবং ডিসেম্বরে ছিলো ৯ দশমিক ৯৫ টন।
বর্তমানে চীন বিশ্বের শীর্ষ স্বর্ণ উৎপাদক এবং ভোক্তা। ২০১৮ সালে দেশটি ৪৪০ টন স্বর্ণ উৎপাদন করে। এরপরেই ছিলো অস্ট্রেলিয়ার অবস্থান। তাদের মোট স্বর্ণ উৎপাদনের পরিমাণ ছিলো ৩০০ টন। অন্যদিকে, তৃতীয় স্থানে থাকা রাশিয়া উৎপাদন করে ২৫৫ টন। এই তালিকায় চতুর্থ স্থানে অবস্থান যুক্তরাষ্ট্রের। তাদের উৎপাদিত স্বর্ণের পরিমাণ ছিলো ২৪৫ টন। এমন সময় চীনা কেন্দ্রীয় ব্যাংক স্বর্ণক্রয়ের পরিমাণ বাড়িয়েছে যখন বাণিজ্য আলোচনার অগ্রগতি স্বত্বেও চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গতি কমছে। তবে এবারই প্রথম নয়। ইতোপূর্বে, ২০১৫ এবং ১৬ সালে পিপলস ব্যাংক তাদের স্বর্ণ ক্রয়ের পরিমাণ বারিয়েছিলো। ২০১৮ সালের শেষে বিশ্বের শীর্ষ স্বর্ণ ক্রেতা ছিলো রাশিয়া। দেশটি ডলারের বিপরীতে নিজ মুদ্রা রুবলকে শক্তিশালী করতে ২৭৪ টন স্বর্ণ কেনে। সম্পাদনা : ইকবাল খান