অভিজিৎ হত্যা মামলায় চার্জশিট গ্রহণ, মেজরজিয়াসহ ২ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
মামুন আহম্মেদ খান : অভিজিৎ রায় হত্যা মামলায় (চাকরিচ্যুত মেজর) সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক ওরফে মেজর জিয়াসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করেছেন ট্রাইব্যুনাল। মামলাটিতে মেজর জিয়া ও আকরাম হোসেন ওরফে আবির ওরফে আদনান ওরফে হাসিবুল ওরফে আব্দুল্লাহ পলাতক থাকায় তাদের বিরেুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকার সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান মামলার চার্জশিট গ্রহণ করে এ পরোয়ানা জারি করেন। আর ১৫ জনকে অব্যাহতির আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।
মামলার অপর চার আসামিরা হলেন- আবু সিদ্দিক সোহেল (সাংগঠনিক নাম সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন (সাংগঠনিক নাম শাহরিয়ার), আরাফাত রহমান (সাংগঠনিক নাম সিয়াম ওরফে সাজ্জাদ ওরফে শামস্), শফিউর রহমান ফারাবি। এরা সবাই কারাগারে আছেন।
অব্যাহতি পাওয়া আসামিরা হলেন- সাদেক আলী ওরফে মিঠু, মোহাম্মদ তৌহিদুর রহমান ওরফে গামা, আমিনুল মল্লিক, জাফরান হাসান, জুলহাস বিশ্বাস, আ. সবুর ওরফে রাজু সাদ ওরফে সুজন, মইনুল হাসান শামীম ওরফে সিফাত ওরফে সামির ওরফে ইমরান, মান্না ইয়াহিয়া ওরফে মান্নান রাহি, আবুল বাশার, মুকুল রানা ওরফে শরিফুল ইসলাম ওরফে হাদী, সেলিম, হাসান, আলী ওরফে খলিল, অনিক ও অন্তু।
সাদেক আলী ওরফে মিঠু, মোহাম্মদ তৌহিদুর রহমান, আমিনুল মলি�ক, জুলহাস বিশ্বাস, জাফরান হাসান, আ. সবুর ও মইনুল হাসান শামীমের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের অব্যাহতির আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
মান্না ইয়াহিয়া ওরফে মান্নান রাহি ও আবুল বাশার মৃত্যুবরণ করায় তাদের অব্যাহতির আবেদন করা হয়। মুকুল রানা খিলগাঁও এলাকায় বন্ধুকযুদ্ধে মারা যান। অপর পাঁচ আসামি সেলিম, হাসান, আলী ওরফে খলিল, অনিক ও অন্তুর নাম-ঠিকানা না পাওয়ায় তাদের অব্যাহতি আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। তবে পূর্ণাঙ্গ নাম-ঠিকানা পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে সম্পূরক চার্জশিট দাখিল করা হবে বলে চার্জশিটে উল্লখ করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
মামলাটিতে গত ১৩ মার্চ মেজর জিয়াসহ ছয় জনের জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম। মামলাটি বিচারের জন্য প্রস্তুত হওয়ায় গত ২৫ মার্চ মামলাটি ঢাকার সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালে বদলির আদেশ দেন আদালত। মামলায় অভিজিতের স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যাসহ ৩৪ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।