বিশেষজ্ঞদের মতে অনিয়ন্ত্রিত অভিবাসনই ব্রেক্সিটের কারণ
আসিফুজ্জামান পৃথিল : ব্রেক্সিট নিয়ে গণভোটের ৩ বছর পর এই ইস্যুতে বড় ধরণের সমস্যায় পড়েছে যুক্তরাজ্য। ব্রেক্সিট নিয়ে অনেক কৌশলগত আলোচনা হলেও জনগন কেনো ব্রেক্সিটের পক্ষে ভোট দিয়েছে এই আলোচনা খুব কমই হচ্ছে। এক্ষেত্রে বড় ধরণের প্রভাব রেখেছে অনিয়ন্ত্রিত অভিবাসন। ডেইলি মেইলে লেখা এক নিবন্ধে এই মন্তব্য করেছেন ব্রিটিশ রাজনৈতিক বিশ্লেষক স্টিফেন গেøাভার। ডেইলি মেইল।
যুক্তরাজ্যে অনিয়ন্ত্রিত অভিবাসনের কারণে এক অদ্ভূত সমস্যা তৈরী হয়েছে। যুক্তরাজ্যে এখন সত্যিকারের ব্রিটিশের চেয়ে অভিবাসী ব্রিটিশের সংখ্যা বেশি। তবে তাদের সবার ভোটাধিকার নেই। আর যুক্তরাজ্যের একটি বড় জনগোষ্ঠীর বয়স ৭০ এর আশেপাশে। যারা স্বাভাবিকভাবেই রক্ষণশীল। এই রক্ষণশীল ব্রিটিশরা ভোট দিয়েছেন ব্রেক্সিটের পক্ষে। যদিও আন্ত:ইউরোপিয় ইউনিয়ন অভিবাসনের সংখ্যা কমেছে, তবুও সেটিকে কম বলার সুযোগ নেই। ২০১৮ সালে ২ লাখ ৮৩ হাজার ব্যক্তি যুক্তরাজ্যে এসেছিলো। যা টোরিদের প্রতিশ্রæত ১ লাখের চেয়ে ৩ গুন বেশি!
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯৪০-৫০ এর দশকে শিল্পে সস্তা শ্রমিক হিসেবে যুক্তরাজ্যের অভিবাসীর প্রয়োজন ছিলো। সেই প্রয়োজন ভালোভাবেই মিটেছে। এরপর দেশটির সামাজিক সুবিধার সুযোগ নিয়ে প্রভাব বাড়াতে শুরু করে অভিবাসীরা। যে প্রভাব প্রতিনিয়ত বাড়ছেই। বয়োবৃদ্ধ ব্রিটিশদের এটি কখনই পছন্দ হয়নি। কনজারভেটিভরা সেই সুবিধা নিয়েছে। যার খেসারত দিতে হচ্ছে যুক্তরাজ্যকে। সম্পাদনা : ইকবাল খান