অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে মিরপুরে ডিএনসিসির অভিযান
সুজিৎ নন্দী : ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) মিরপুর ১০ হোপ স্কুল রোড, সেনপাড়া বাউন্ডারি রোড এলাকায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান ও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকালে ফুটপাত দখল করে রাখা ৩৫০টির অধিক অবৈধ অস্থায়ী, সেমিপাকা, শেড, র্যাম্প, সিঁড়িসহ অন্যান্য স্থাপনা উচ্ছেদ করে। পাশাপাশি প্রায় ৩০ হাজার বর্গফুট এলাকা উদ্ধার করে জনগণের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। গতকাল মেয়র আতিকুল ইসলামের উপস্থিতিতে এ অভিযান পরিচালনা করে।
ফুটপাত দখল করে ব্যবসা করার অপরাধে স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) আইন, ২০০৯ অনুযায়ী ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৩টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সর্বমোট ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। প্রতিষ্ঠান ৩টি আলিফ ডেকোরেটর, খালেক হোটেল ও স্বাদ তেহারি।
ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, খালটি ডিএনসিসি এলাকার। কিন্তু খালটির সাথে অন্যান্য সংস্থা যুক্ত রয়েছে। খালের দুই পাড় ঢাকা জেলা প্রশাসনের অধীনে এবং খালটির মালিক ঢাকা ওয়াসা, তারপরও জনগণের দুর্ভোগ লাঘবে নগরের একজন সেবক হিসাবে আমি বসে থাকতে রাজি না। এখানে মুল রাস্তার পাশে খালটি ১৮ ফুট চওড়া কিন্তু যতো সামনে যাওয়া যাবে খালটি সরু হতে হতে এক পর্যায়ে ৪ ফুট এমনকি ২ ফুটে পরিণত হয়েছে। তিনি বলেন, সেখানে খালের জায়গা ভরাট করে মানুষ অবৈধভাবে ভবন নির্মাণ করেছে। খালের দুই পাড় থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের দায়িত্ব ঢাকা জেলা প্রশাসনের। তবে ডিএনসিসির মালিকানাধীন কোন জায়গার উপর অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মাণ করা হলে ডিএনসিসি উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করবে।
গতকাল মিরপুরের কালশী এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলাম এ কথা বলেন। জানা যায়, ওয়াসার মালিকানাধীন এই খালটির আবর্জনা গত দুই দিন ধরে ডিএনসিসি পরিষ্কার করছে। এ সময় মেয়র আতিক সাংবাদিক কলোনির পাশের এই খালটির কালশী মেইন রোড থেকে মদিনা নগর পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার ঘুরে দেখেন। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ জুবায়ের সালেহীন প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক, ওয়াসার পরিচালক এ কে এম শহিদ উদ্দিন। সম্পাদনা : আনিস রহমান