আসিফুজ্জামান পৃথিল : বরিস জনসনের নেতৃত্বে বেশ কিছু জেষ্ঠ্য টোরি নেতা ডিইউপি নেতৃবৃন্দের সঙ্গে গোপনে বৈঠক করেছেন। ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে’কে ক্ষমতাচ্যুত করতেই এই বৈঠক বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। ডেইলিমেইল।
ডিইউপি নেত্রী আরলেন ফোস্টার এবং তার সহকারী নাইজেল ডোডস হাউজ অব কমন্সের একটি কক্ষে জনসন এবং তার সঙ্গীদের সঙ্গে ৪০ মিনিট ধরে বৈঠক করেন। ব্রেক্সিট অক্টোবর পর্যন্ত পেছানোয় ইতোমধ্যেই ফোস্টার থেরেসাকে সতর্ক করে বলেছেন, তারা আর তাকে সমর্থন নাও করতে পারেন। বুধবারের বরিস জনসনের সঙ্গে এই বৈঠকের কারণে একে থেরেসা বিরোধী কার্যক্রমের অংশ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। ব্রিটিশ দৈনিক দ্য টাইমস বলছে থেরেসা ক্ষমতাচ্যুত হলে তার বদলে প্রধানমন্ত্রী হতে চাওয়ার শর্ত দিতে পারেন ফস্টার।
এদিকে ব্রেক্সিট ইস্যুতে লেবার পার্টি নেতা জেরেমি করবিনের সঙ্গে সমঝোতার পথে একধাপ এগিয়ে গেছেন থেরেসা বলে মনে করছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম ডেইলি মেইল। বুধবার এই দুই নেতা ব্রিটিশ পার্লামেন্টের একটি ব্যক্তিগত চেম্বারে দীর্ঘসময় ধরে বৈঠক করেন। জেরেমি করবিনের প্রস্তাবিত কাস্টম ইউনিয়ন পরিকল্পনায় থেরেসা রাজী হবেন বলেও মনে করছেন অনেকে। ব্রিটিশ রাজনৈতিক বিষেøশকরা মনে করছেন, নিজ দলের সঙ্গে থেরেসার দূরত্ব যতো বেড়েছে লেবার পার্টির ততই কাছাকাছি গিয়েছেন তিনি। বর্তমান পরিস্থিতিতে টোরি পার্টির চেয়ে লেবার পার্টিই থেরেসার বেশি আস্থাভাজন বলে মন্তব্য করেছে ডেইলি মেইল। সম্পাদনা : ইকবাল খান