নূর মাজিদ : এসময় প্রত্যাশার চাইতেও ভালো করেছে দেশটির রপ্তানিখাত। যার সঙ্গে যোগ দিয়েছে কম আমদানি। গতকাল শুক্রবার দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রকাশিত এক তথ্য বিবরণীতে এই তথ্য তুলে ধরা হয়। ফলে, মার্চে চীনের বাণিজ্য উদ্বৃত্ত বাজার পূর্বাভাষের চাইতেও ভালো অবস্থান অর্জন করে। সিএনবিসি
গত বছরের মার্চে মার্কিন ডলারের মাধ্যমে বৈদেশিক বাণিজ্যে চীন ৭ দশমিক ৩ শতাংশ রপ্তানি প্রবৃদ্ধি অর্জন করে। সেই তুলনায় গতমাসে তাদের প্রবৃদ্ধি ১৪ দশমিক ২ শতাংশ বেড়েছে। একইসঙ্গে, দেশটির আমদানির পরিমাণ গত বছরের মার্চের তুলনায় ৭ দশমিক ৬ শতাংশ কমেছে। যদিও, থমসন রয়টার্স বাণিজ্যিক তথ্য পূর্বাভাষে মাত্র ১ দশমিক ৩ শতাংশ আমদানি কমার পূর্বাভাষ দেয়া হয়েছিলো। তবে আমদানি কমে আসার কারণে চীনের স্থানীয় বাজারে আমদানি পণ্যের চাহিদা কমে আসার দিকে ইঙ্গিত দিচ্ছে। চীন-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য যুদ্ধের কারণে অনেক চীনা নাগরিক এখন মার্কিন পন্য বর্জন করছেন। জাতীয়তাবাদী অনুভূতি এই পালে হাওয়া দিচ্ছে।
সার্বিকভাবে মার্চে ৩ হাজার ২৬৪ কোটি ডলার বৈদেশিক বাণিজ্য উদ্বৃত্ত অর্জন করে দেশটি। যা রয়টার্স এবং ডাউ জোন্স বাজার বিশেষজ্ঞরা হিসেব করে নিশ্চিত হয়েছেন। তবে ডাউ জোন্স বাজার ধারণা করেছিলো মার্চে চীন ৬শ কোটি ডলার উদ্বৃত্ত অর্জন করবে। রয়টার্স পূর্বানুমান করেছিলো ৭শ কোটি ডলার। তবে মার্কিন বাজার বিশেষজ্ঞদের ধারণা, সাম্প্রতিক আশাতীত বাণিজ্য সফলতার তথ্যের পেছনে মৌসুমি প্রবণতাও মুখ্য অবদান রাখতে পারে। বিশেষ করে, চীনের চান্দ্র নববর্ষের কারণে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত পণ্যের চাহিদা বেড়েছে ভোক্তাদের মাঝে।
মার্চে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের বৈদেশিক বাণিজ্যে উদ্বৃত্ত ছিলো ২ হাজার ৫শ কোটি ডলার। যা ফেব্রুয়ারির ১ হাজার ৪৭২ কোটি ডলারের চাইতে একটি বড় ব্যবধান নির্দেশ করছে। চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে মোট ৬ হাজার ২৬৬ কোটি ডলারের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য করেছে চীন। এদিকে ইতিবাচক বৈদেশিক বাণিজ্যের তথ্য প্রকাশের পর বেড়েছে চীনা ইউয়ানের দর। মার্কিন ডলারের বিপরীতে শকিশালী অবস্থান নিয়ে, প্রতি ডলারে ৬ দশমিক ৭২ ইউয়ান হাতবদল হয় গতকালের মুদ্রাবাজারে।