নূর মাজিদ : বিশ্ব বাজারের নিয়ে গবেষণা প্রতিবেদনে এই তথ্য জানায় মার্কেটঅ্যান্ডরিসার্চ বা এমএআর। তারা স্বাস্থ্যখাতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই স¤পন্ন চিকিৎসাযন্ত্র, সফটওয়্যার এবং অন্যান্য সেবার জন্য এই পরিমাণ বাজারের আকার পূর্বাভাস দিয়েছে। সংস্থাটি বলছে, ২০২৫ সাল নাগাদ চিকিৎসাখাতে ব্যবহৃত এই ধরনের প্রযুক্তির বাজার ৪৩ দশমিক ৫ শতাংশ বাড়বে ২০১৮ সালের তুলনায়। তাই ২০২৫ সালে বাজারটি ২৭শ কোটি ডলারের হবে। মার্কেটঅ্যান্ডরিসার্চডটকম
প্রাথমিক এবং মাঠ পর্যায়ের গবেষণার মাধ্যমে বাজারের সার্বিক অবস্থান পর্যবেক্ষণ করে প্রতিবেদনটি প্রস্তুত করা হয়। যেখানে স্বাস্থ্যখাতে এই শিল্পের মূল চাহিদা, সীমাবদ্ধতা, সম্ভাবনা এবং প্রতিবন্ধকতার মতো বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এমএআর জানায়, বর্তমানে কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার বিকাশে অনেক দেশের সরকার গবেষণা সহায়তা ও তহবিল দিচ্ছে। স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে অনেক সময় ভর্তুকির মাধ্যমে এই প্রযুক্তির ব্যবহার উৎসাহিত করা হচ্ছে। এছাড়াও বাজার চাহিদা তো রয়েছেই। এখন চিকিৎসা ব্যয় কমাতে, সঠিক ও সুক্ষ্ম রোগ নির্ণয় ও নিরাময়ের চাহিদা বাড়ছে। এইক্ষেত্রে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহারের কোন বিকল্প নেই।
যদিও স্বাস্থ্যখাতে এআই-প্রযুক্তির বাজার বিকাশের বেশকিছু প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম একটি বাধা হলো ভোক্তাদের আস্থা অর্জন। অনেক রোগী এখনো নতুন প্রযুক্তির মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা নিতে ভরসা পান না। প্রচলিত চিকিৎসা ব্যবস্থার দিকেই ভারী তাদের আস্থার পাল্লা। তবে ধীরে ধীরে এই অচলাবস্থা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। কারণ, উন্নত ও সঠিক সেবার মাধ্যমে ধীরে ধীরে আস্থা অর্জন করছে এআই-প্রযুক্তির চিকিৎসা পদ্ধতি।
বর্তমানে অন্ত্রনালীর জটিল রোগ, হৃদরোগ এবং ব্রেন সার্জারি খাতে সবচাইতে বেশি চাহিদা এই প্রযুক্তির। যার মাঝে সফটওয়্যার চাহিদাটাই আবার সবচেয়ে বেশি। উত্তর আমেরিকা, ইউরোপ, এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চল, লাতিন আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্য এবং আফ্রিকার বাজার বিশ্লেষণে এই তথ্য উঠে আসে। বর্তমানে চিকিৎসায় এআই প্রযুক্তির সবচাইতে বেশি ব্যবহার হচ্ছে উত্তর আমেরিকায়। এরপরেই রয়েছে ইউরোপ এবং তারপরে অবস্থান এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের। সম্পাদনা : আনিস রহমান