ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরে ৮০ মিলিয়ন ডলার বাণিজ্য বাড়ার সম্ভাবনা
স্বপ্না চক্রবর্তী : ভুটান থেকে খনিজ পণ্য, সবজি, আয়রন ও স্টিল, টেক্সটাইল সামগ্রীসহ প্রায় ১৮.১০ মিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করে বাংলাদেশ। এর পরিপ্রেক্ষিতে ৩.৭২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য বাংলাদেশ থেকে ভুটানে রপ্তানি হয়। সব মিলিয়ে ৩৫ মিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি-রপ্তানি হলেও দেশটির প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক বাংলাদেশ সফরের মাধ্যমে এই বাণিজ্য ৮০ মিলিয়ন ডলার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে বলে মনে করছেন বাংলাদেশের ব্যবসায়ী মহল।
ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মো. শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বলেন, প্রতিবেশী এ দেশ দুটির মধ্যকার বাণিজ্য সম্পর্ক উন্নয়নের বিপুল সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও এখনও তা কাক্সিক্ষত পর্যায়ে উন্নীত হয়নি। তবে দেশটির সঙ্গে বস্ত্রখাত, তথ্য প্রযুক্তি, নির্মাণ ইত্যাদি খাতে বাণিজ্য বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আশা করছি ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর এই সফরে দুই দেশের বাণিজ্য সম্ভাবনার দ্বার আরও সম্প্রসারিত হবে। তবে দেশটি একেবারেই ছোট এ জনসংখ্যা কম হওয়ায় ওই দেশে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের সম্ভাবনা একেবারেই ক্ষীণ মন্তব্য করে বিজিএমইএর সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, তবে দেশটি থেকে বিদ্যুৎ আমদানিতে সুবিধা পেলে আমাদের তৈরি পোশাক খাত উপকৃত হবে। আশা করছি দেশটি থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানি প্রক্রিয়া দ্রুত কার্যকর হবে।
এ বিষয়ে গত শনিবার এফবিসিসিআই আয়োজিত এক আলোচনা সভায় ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং বলেন, দুদেশের মধ্যে বাণিজ্য উন্নয়নের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। দুই দেশের বাণিজ্য বৃদ্ধিতে শুল্কমুক্ত বাণিজ্য সুবিধা তৈরি করতে হবে। বাংলাদেশ যদি মনে করে ভুটানিরা তাদের কাছের মানুষ আমার মনে হয় আপনাদের এগিয়ে আশা উচিত। প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে দুই দেশের বাণিজ্য সম্ভাবনা নিয়ে নতুন করে হিসাব করছেন বাংলাদেশসহ ভুটানের ব্যবসায়ীরা। সম্পাদনা : আনিস রহমান