মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বললেন, পাটকল কর্তৃপক্ষকে শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা করে সমাধান খুঁজে বের করতে হবে
আমিরুল ইসলাম : বকেয়া মজুরি পরিশোধ এবং মজুরি কমিশন বাস্তবায়নসহ ৯ দফা দাবিতে পাটকল শ্রমিকরা ৯৬ ঘণ্টার ধর্মঘট পালন করছেন। চট্টগ্রাম ও খুলনাতে তারা সড়ক ও রেলপথ অবরোধও করেছেন। প্রধানমন্ত্রী কিছুদিন আগেও বলেছেন, পাটশিল্পে তিনি যেন আর লোকসানের কথা না শুনেন। কিন্তু আমারা পাটশিল্পে কিছুদিন পর পরই আন্দোলন দেখছি। এ সমস্যার সমাধান করা যায় কীভাবে? জানতে চাইলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেছেন, কীভাবে রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলো লাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে রূপ লাভ করবে, তার পথ খুঁজে বের করতে হবে।
তিনি বলেন, একটা চক্রান্তকারী গোষ্ঠী ইচ্ছে করে দুইদিন পর পর শ্রমিকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করে ও আন্দোলন গড়ে তোলে। সরকার পক্ষ থেকে প্রতিনিয়ত পাটে ভর্তুকি দেয়া সত্ত্বেও এ খাতের কর্মকর্তারা পাট খাতে লোকসান দেখাচ্ছে, আরও বেশি ভর্তুকি লাভের আশায়। এটা সম্পূর্ণ অভ্যন্তরীণভাবে সৃষ্ট একটা সমস্যা। বাংলাদেশের পাট খাতে যে প্রতিনিয়ত লোকসান দেখানো হচ্ছে এটা আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতও জেনে গেছে। আমাদের এখানে পাটজাত দ্রব্য তৈরি করতে যতো টাকা খরচ করা হয় তার চেয়ে কম দামে এসব পণ্য বিক্রি করা হয়। যার ফলে প্রতি বছর সরকার থেকে কোটি কোটি টাকা ভর্তুকি দিচ্ছে। বাংলাদেশে বেসরকারিভাবেও কিছু পাটকল রয়েছে, তারা আর্থিকভাবে বেশি লাভবান হচ্ছে। কিন্তু রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলোর এ অবস্থা কেন? বছর বছর তাদের প্রতিষ্ঠানকে সরকার পক্ষ থেকে ভর্তুকি দিয়ে চালানো সম্ভব নয়।