শাহজালাল ভূঞা: মাদরাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলার এজাহার ভুক্ত ও অন্যতম আসামি নুর উদ্দিন ও শাহদাত হোসেন শামিম স্বীকারোক্তীমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। ১৫ এপ্রিল সোমবার রাত ১টা পর্যন্ত সিনিয়র জুুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসাইনের আদালতে জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। রোববার দুুুপুর ২টা ৫৫ থেকে সোমবার রাত ১টা পর্যন্ত রেকর্ড চলে।
রাত ১টা ৫ মিনিটের দিকে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশান (পিবিআই) এর স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন এন্ড অপারেশনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তাহেরুল হক চৌহান এ ব্যাাপারে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
এসময় তিনি বলেন, পিবিআই এ মামলার দায়িত্ব পাওয়ার চার দিনের মধ্যে (১০-১৪ এপ্রিল) আমরা ঘটনার মূল নায়ক অর্থাৎ যারা ঘটনাটি ঘটিয়েছে তাদের আইনের হাতে সোপর্দ করেছে। তদন্তকারী কর্মকর্তা আইনের মধ্যে থেকে বিজ্ঞ আদালতের কাছে তাদের হাজির করেছেন। আদালত দীর্ঘ সময় ধরে তাদের সিআরপিসির ১৬৪ ধারায় জবানবন্ধিতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। আসামীদ্বয় স্বতস্পূর্তভাবে বিজ্ঞ আদালতের কাছে তাদের বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন। আসামীদ্বয় পুরো বিষয় খোলাসা করেছেন। হত্যাকান্ডটি কারা ঘটিয়েছে, কিভাবে ঘটিয়েছে, কি প্রক্রিয়ায় ঘটিয়েছে বিস্তারিত বলেছেন কিন্তু তা আপনাদের সামনে পেশ করবো না মামলার তদন্তের স্বার্থে।
এসময় তিনি আরো বলেন, আসামীরা অপরাধ স্বীকার করেছেন, তারা হত্যাকান্ড ঘটিয়েছেন। তারা জেলখানা (সিরাজ উদ দৌলা) থেকে হুকুম পেয়েছেন।
এসময় তিনি আরো বলেন, এখনো পর্যন্ত এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত ১৩জনের নাম এসেছে। এছাড়াও বিক্ষিপ্তভাবে কিছু নাম এসেছে। আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও অন্যান্য তথ্য-উপাত্ত খতিয়ে দেখে সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারবো।
তিনি বলেন, হত্যাকান্ডের সাথে সরাসরি জড়িত যে চারজন তাদের সকলকে আমরা গ্রেপ্তার করতে পারিনি। দুইজন গ্রেপ্তার আছে, বাকী দুইজনকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। যেকোন সময় আপনাদের একটি ভালো খবর দিতে পারবো।