রাবি শিক্ষক শফিউল হত্যা মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদ-
মাকসুদা লিপি : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. একেএম শফিউল ইসলাম লিলন হত্যা মামলায় তিনজনের মৃত্যুদ- দিয়েছেন আদালত। এছাড়া বাকি আটজনকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে। গতকাল সোমবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে রাজশাহীর দ্রুত বিচার আদালতের বিচারক অনুপ কুমার এ রায় দেন। জাগো নিউজ, বাংলা ট্রিবিউন
ফাঁসির মৃত্যুদ-প্রাপ্ত আসামিরা হলেনÑআব্দুস সালাম পিন্টু, সবুজ শেখ (পলাতক) ও আরিফুল ইসলাম মানিক। বাকি দুজন রায় ঘোষণার সময় আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। পিন্টু ও মানিক যুবদলের নেতা। মামলার বাকি আট আসামি বেকসুর খালাস পেয়েছেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মর্তুজা জানান, ‘১১ জন আসামিদের মধ্যে আদালত তিনজনকে ফাঁসি ও আটজনকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন। আমরা ফাঁসির রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাবো। কারণ যে ৩৪ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন, তাদের কেউই এ হত্যাকা-ের সঙ্গে আসামিদের সম্পৃক্ত রয়েছে এমন কিছু উল্লেখ করতে পারেনি।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ১৫ নভেম্বর দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন চৌদ্দপাই এলাকায় নিজ বাড়ির সামনে খুন হন সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. এ কে এম শফিউল ইসলাম লিলন। পরের দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মুহাম্মদ এন্তাজুল হক বাদী হয়ে অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে মতিহার থানায় হত্যা মামলা করেন।
২০১৫ সালের ৩০ নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রেজাউস সাদিক জেলা যুবদলের আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন উজ্জ্বলসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব শাখায় কর্মরত নাসরিন আখতার রেশমার সঙ্গে শফিউল ইসলামের দ্বন্দ্বের জেরে তার স্বামী যুবদল নেতা পিন্টু লোকজন নিয়ে এ হত্যাকা- ঘটিয়েছেন।
২০১৫ সালে ৩০ নভেম্বর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শফিউল ইসলাম লিলন হত্যা মামলায় যুবদল নেতা আনোয়ার হোসেন উজ্জ্বলসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রেজাউস সাদিক। সম্পাদনা : রেজাউল আহসান