স্মার্টফোন ও ট্যাবে স্বাস্থ্যঝুঁকি প্রশ্নে ভিন্নমত
ফাতেমা ইসলাম : একটানা দীর্ঘসময় কোনো ডিভাইসের স্ক্রীনে সময় কাটানো যে ক্ষতিকর, এতোদিন মোটামুটি এটাই ছিল গ্রহণযোগ্য মত। কিন্তু নতুন এক গবেষণায় বলা হয়েছে, বেশি সময় স্ক্রীনে চোখ রাখলে যে মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর এর কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়ে, এমন কোন সুস্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে না। -বিবিসি নিউজ
গবেষকদের একজন অ্যামি ওরবেন বিবিসিকে বলেন, “ঘুমানোর আগে আধঘন্টা, এক ঘন্টা বা দু’ঘন্টা ধরে কেউ স্ক্রীনে চোখ রাখলে সেটা যে তাদের স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলে এমন কিছু আমরা পাইনি। “তরুণ-তরুণীরা তাদের দিনের একটা উল্লেখ্যযোগ্য সময় কাটায় স্মার্টফোনে। যুক্তরাজ্য, আয়ারল্যান্ড এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ১৭ হাজারের বেশি টিনএজারের তথ্য সংগ্রহ করে এই উদঘাটন।
অ্যামি ওরবান বলেন, গবেষণার জন্য তথ্য সংগ্রহের সময় জরিপে অংশগ্রহণকারীরা যে তথ্য তাদের দিয়েছেন, শুধু সেটার ওপর তারা নির্ভর করেনি। কারণ, মানুষ আসলে কতটা সময় স্ক্রীনে কাটায়, সেটা তারা নিজেরাই ঠিকমত অনুমান করতে পারে না। আগের গবেষণাগুলোতে নিজেরা যে আনুমানিক তথ্য দিয়েছিলো, তার সাথে তাদের ফোন ট্র্যাক করে পাওয়া তথ্যের অনেক পার্থক্য ছিলো।
স্ক্রীনে বেশি সময় কাটালেই তা মানসিক স্বাস্থ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে না বলেন অক্সফোর্ডের নতুন গবেষক। গত আট বছরে কিশোর-কিশোরীদের স্ক্রীনটাইম ব্যবহার অনেক বদলে গেছে। তারা অনেক বেশি সময় স্ক্রীনে কাটায়। তারা অনলাইনে এমন সব জিনিস দেখছে, যা তাদেরকে ক্ষুধামান্দ্য বা আত্মক্ষতির দিকে ঠেলে দিচ্ছে এই উদ্বেগ অভিভাবকদের মধ্যে। অক্সফোর্ডের গবেষকরা জানাচ্ছেন, মানসিক স্বাস্থ্যের সঙ্গে কে কতটা সময় স্ক্রীনে কাটাচ্ছে তার সর্ম্পক আসলে খুব কম।
অ্যামি অরবান বলছেন, “এর মানে এই নয় যে ক্ষতিকর বা উপকারী কোন ডিজিটাল প্রযুক্তি নেই। আমরা যা বলতে চাইছি, তা হলো, এক্ষেত্রে আরও গবেষণার দরকার আছে। “তবে গবেষণার ফল যাই হোক, ইন্টারনেটের ওপর আরও বেশি নিয়ন্ত্রণ আরোপের জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকারের ওপর চাপ দিনে দিনে বাড়ছে। সম্পাদনা : আবদুল অদুদ