বুড়িগঙ্গা নদী বন্ধ করে ধর্মঘট পালন
তরিকুল সুমন : নিয়োগপত্র ও খোরাকি ভাতা প্রদানসহ ১৩ দফা দাবিতে নৌযান শ্রমিকদের ডাকা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটে বন্ধ রয়েছে দেশের যাত্রী ও পণ্যবাহী নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। মঙ্গবার ঢাকা সদরঘাটে সরেজমিন অবস্থান করে দেখা গেছে, সকাল সাড়ে ৯টার পর থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত মাত্র ৯টি যাত্রীবাহী নৌযান পন্টুনে এসেছে। অন্য নৌযানগুলো পন্টুনের অপর পাশে কেরানীগঞ্জের অংশে নোঙ্গর করা হয়েছে। কিছু কিছু নৌযান এমনভাবে বুড়িগঙ্গা নদীর মাঝে রাখা হয়েছে, যাতে অন্য কোনো নৌযান চলাচল করতে না পারে। এসময়ে অন্যান্য জাহাজের সঙ্গে পণ্যবাহী লাইটারেজ জাহাজকেও ধর্মঘটে অংশ নিনে দেখা গেছে। সদরঘাট নৌবন্দরের পোর্ট অফিসার আলমগীর কবির জানান, বিভিন্ন জায়গা থেকে গত রাতে ছেড়ে আসে প্রায় অর্ধ শতাধিক নৌযান। এগুলো সকাল ৮টার মধ্যে সদরঘাটে পৌঁছেছে। কিন্তু হঠাৎ সকাল ৯টার দিকে ধর্মঘটকারীদের একটি মিছিল সদরঘাট নৌবন্দরে এসে তাদের নৌযানগুলো পন্টুন থেকে নিয়ে চলে যায়। মাঝ নদীতে এসব নৌযান বিভিন্ন জায়গায় নোঙ্গর করে রাখে। পৌনে ১১টার পরে দিকে ফারহার নেভিগেশনের বেশ কয়েকটি নৌযান সদরঘাটে এসে ভিড়ে।
লঞ্চ মালিক সমিতির (যাত্রী পরিবহন) সংস্থার উপদেষ্টা, সংসদ সদস্য এবং ফারহান নেভিগেশনের গোলাম কিবরিয়া টিপু জানান, আমরা শ্রমিকদের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করার পরেও তাদের এই ধর্মঘট ভিত্তিহীন। তাদের দাবি নিয়ে আলোচনা না করেই এ ধরনের কর্মসূচি অযৌক্তিক। তবে আমরা আমাদের নৌযান বসিয়ে রাখবো না। ঢাকা থেকে বিভিন্ন রুটে নৌ চলাচল করবে। আশা করি, নৌ শ্রমিকরা তাদের ভুল বুঝতে পেরে আবার কাজে ফিরে আসবে।
নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী আশিকুল আলম জানান, আমরা শ্রমিকদের দাবি আদায়ে কাজ করছি। আমরা সকল শ্রমিকের সঙ্গে আলোচনা করেই এ ধর্মঘট পালন করছি। মালিকরা এখনো আলোচনার কোনো প্রস্তাব দেয়নি।
এ পরিস্থিতির খরব নিতে সদরঘাট নৌবন্দর পরিদর্শন করেছেন অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডবিøউটিএ) চেয়ারম্যান কমোডর এম মাহবুব-উল ইসলাম। তিনি বলেন, নৌ শ্রমিকদের দাবি দাওয়ার বিষয়ে শ্রম পরিদপ্তর বৈঠক করছে। এ নিয়ে আমাদের কোনো সমস্যা নেই।
এর আগে সোমবার রাতে রাজধানীর শ্রম অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে শ্রম প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ানের সঙ্গে নৌযান মালিক-শ্রমিক নেতাদের আলোচনা শেষে বাংলাদেশ লাইটারেজ শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন।
বাংলাদেশ জাহাজি শ্রমিক ফেডারেশনের আওতায় বাংলাদেশ লাইটারেজ শ্রমিক ইউনিয়নের দেশব্যাপী শ্রমিকদের ১৩ দফা দাবি আদায়ে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট ডেকেছিলো একাধিক শ্রমিক সংগঠন। নৌবন্দরে শ্রমিকদের জন্য বাসস্থান, বিনোদনের ব্যবস্থা, চিকিৎসাসেবা কেন্দ্র স্থাপন, বিদেশগামী জাহাজের শ্রমিকদের বৈধ কাগজপত্র প্রদানসহ ১৩ দফা দাবি জানিয়ে আসছিলেন শ্রমিকরা। সম্পাদনা : রেজাউল আহসানবুড়িগঙ্গা নদী বন্ধ করে ধর্মঘট পালন, মালিকদের দাবি লঞ্চ চলবে
তরিকুল সুমন : নিয়োগপত্র ও খোরাকি ভাতা প্রদানসহ ১৩ দফা দাবিতে নৌযান শ্রমিকদের ডাকা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটে বন্ধ রয়েছে দেশের যাত্রী ও পণ্যবাহী নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
মঙ্গবার ঢাকা সদরঘাটে সরেজমিন অবস্থান করে দেখা গেছে, সকাল সাড়ে ৯টার পর থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত মাত্র ৯টি যাত্রীবাহী নৌযান পন্টুনে এসেছে। অন্য নৌযানগুলো পন্টুনের অপর পাশে কেরানীগঞ্জের অংশে নোঙ্গর করা হয়েছে। কিছু কিছু নৌযান এমনভাবে বুড়িগঙ্গা নদীর মাঝে রাখা হয়েছে, যাতে অন্য কোনো নৌযান চলাচল করতে না পারে। এসময়ে অন্যান্য জাহাজের সঙ্গে পণ্যবাহী লাইটারেজ জাহাজকেও ধর্মঘটে অংশ নিনে দেখা গেছে।
সদরঘাট নৌবন্দরের পোর্ট অফিসার আলমগীর কবির জানান, বিভিন্ন জায়গা থেকে গত রাতে ছেড়ে আসে প্রায় অর্ধ শতাধিক নৌযান। এগুলো সকাল ৮টার মধ্যে সদরঘাটে পৌঁছেছে। কিন্তু হঠাৎ সকাল ৯টার দিকে ধর্মঘটকারীদের একটি মিছিল সদরঘাট নৌবন্দরে এসে তাদের নৌযানগুলো পন্টুন থেকে নিয়ে চলে যায়। মাঝ নদীতে এসব নৌযান বিভিন্ন জায়গায় নোঙ্গর করে রাখে। পৌনে ১১টার পরে দিকে ফারহার নেভিগেশনের বেশ কয়েকটি নৌযান সদরঘাটে এসে ভিড়ে।
লঞ্চ মালিক সমিতির (যাত্রী পরিবহন) সংস্থার উপদেষ্টা, সংসদ সদস্য এবং ফারহান নেভিগেশনের গোলাম কিবরিয়া টিপু জানান, আমরা শ্রমিকদের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করার পরেও তাদের এই ধর্মঘট ভিত্তিহীন। তাদের দাবি নিয়ে আলোচনা না করেই এ ধরনের কর্মসূচি অযৌক্তিক। তবে আমরা আমাদের নৌযান বসিয়ে রাখবো না। ঢাকা থেকে বিভিন্ন রুটে নৌ চলাচল করবে। আশা করি, নৌ শ্রমিকরা তাদের ভুল বুঝতে পেরে আবার কাজে ফিরে আসবে।
নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী আশিকুল আলম জানান, আমরা শ্রমিকদের দাবি আদায়ে কাজ করছি। আমরা সকল শ্রমিকের সঙ্গে আলোচনা করেই এ ধর্মঘট পালন করছি। মালিকরা এখনো আলোচনার কোনো প্রস্তাব দেয়নি।
এ পরিস্থিতির খরব নিতে সদরঘাট নৌবন্দর পরিদর্শন করেছেন অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডবিøউটিএ) চেয়ারম্যান কমোডর এম মাহবুব-উল ইসলাম। তিনি বলেন, নৌ শ্রমিকদের দাবি দাওয়ার বিষয়ে শ্রম পরিদপ্তর বৈঠক করছে। এ নিয়ে আমাদের কোনো সমস্যা নেই।
এর আগে সোমবার রাতে রাজধানীর শ্রম অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে শ্রম প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ানের সঙ্গে নৌযান মালিক-শ্রমিক নেতাদের আলোচনা শেষে বাংলাদেশ লাইটারেজ শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন।
বাংলাদেশ জাহাজি শ্রমিক ফেডারেশনের আওতায় বাংলাদেশ লাইটারেজ শ্রমিক ইউনিয়নের দেশব্যাপী শ্রমিকদের ১৩ দফা দাবি আদায়ে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট ডেকেছিলো একাধিক শ্রমিক সংগঠন। নৌবন্দরে শ্রমিকদের জন্য বাসস্থান, বিনোদনের ব্যবস্থা, চিকিৎসাসেবা কেন্দ্র স্থাপন, বিদেশগামী জাহাজের শ্রমিকদের বৈধ কাগজপত্র প্রদানসহ ১৩ দফা দাবি জানিয়ে আসছিলেন শ্রমিকরা। সম্পাদনা : রেজাউল আহসান