যত্রতত্র মেডিকেল কলেজ করতে দেয়া হবে না, জানালেন প্রধানমন্ত্রী
ফাতেমা আহমেদ : মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় স্বাস্থ্য সেবা সপ্তাহ ও জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ ২০১৯-এর উদ্বোধন হয়। প্রধানমন্ত্রী এ সময় ২০১৭-১৮ অর্থবছরে সংগৃহীত সরকারি অ্যাম্বুলেন্স ও যানবাহন বিতরণ করেন। অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘সরকার দেশের সব বিভাগে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছে। তবে শিক্ষার মান রক্ষায় যত্রতত্র মেডিকেল কলেজ করার অনুমতি দেয়া হবে না।’ বাসস, বিডিনিউজ
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দীর্ঘ দশ বছরে আমরা স্বাস্থ্য খাতে ব্যাপক উন্নতি করেছি। প্রথমবার সরকারে আসার পর আমরা ঢাকায় মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় করেছিলাম। এরপর দ্বিতীয়বার থেকে শুরু করে আমরা চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহীÑতিনটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছি। পর্যায়ক্রমে প্রত্যেকটা বিভাগে একটা করে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলার পদক্ষেপ নিয়েছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘মেডিকেল কলেজ তৈরির ক্ষেত্রেও অবশ্যই বিবেচনা করতে হবে, কতো ছাত্র, কত শিক্ষক, শিক্ষার মানটা কতোটুকু হবে। আমাদের অভ্যাস আছে কিছু একটা যখন শুরু হয় তখন সবাই সেটা করতে চায়। কোনোভাবেই যত্রতত্র করতে দেয়া যাবে না। মানসম্পন্ন হতে হবে। শিক্ষাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
তিনি বলেন, ‘নার্সিংটা একসময় আমাদের চাকরির ক্ষেত্রে খুব নিম্ন পর্যায়ে ছিলো। আমি তাকে উচ্চ পর্যায়ে তুলে দিই। একসময় কেবলমাত্র ডিপ্লোমা নার্সিং ট্রেনিং করা হতো। আমাদের একটা সমস্যা রয়েছে, কেউ যদি নার্সিংয়ে আসতে চায় তাকে সায়েন্সের স্টুডেন্ট হতে হবে। ইতিমধ্যে এ ব্যাপারে আমি নির্দেশ দিয়েছি, এরকম কোনো বাধ্যবাধকতা থাকা উচিত না। বরং নার্সিং পড়ার সময় সায়েন্সের যে সাবজেক্টটা যতোটুকু প্রয়োজন সেটা নার্সিং শিক্ষার যে কারিকুলাম সেখানে সংযুক্ত করে দিতে হবে এবং যে কোনো সাবজেক্টে পড়–ক না কেন নার্সিংয়ে সবাই আসতে পারবে, সেই ব্যবস্থাটা নিতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বর্তমানে মানসম্পন্ন ওষুধ উৎপাদনে ব্যাপক সফল্য অর্জন করেছে এবং বিদেশে এর চাহিদা তৈরি হয়েছে পাশাপাশি চিরায়ত ওষুধেরও ব্যাপক গুরুত্ব রয়েছে। তিনি প্রচলিত চিকিৎসা ব্যবস্থার পাশাপাশি প্রাচীনকাল থেকে চলে আসা চিরায়ত স্বাস্থ্য সেবা পদ্ধতিকে মূলধারা ফিরিয়ে আনার আহŸান জানান। তিনি বলেন, ‘সারাবিশ্বে এখন ভেষজ জিনিসের ভীষণ চাহিদা আছে। সেইক্ষেত্রে আমাদের আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা, ইউনানী চিকিৎসা, ভেষজ চিকিৎসা বা হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার ওপরও আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি। এর ওপর গবেষণা প্রয়োজন। মানুষের চিকিৎসার সুবিধার জন্য এগুলোর উন্নয়নে আরো গুরুত্ব দিতে হবে।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, প্রতিমন্ত্রী মো. মুরাদ হাসানস ও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। সম্পাদনা : রেজাউল আহসান