ধনী বৃদ্ধির প্রবৃদ্ধিতে বাংলাদেশ ১ নম্বর আর দেশ ছাড়ার বৃদ্ধিতে ভারত তৃতীয়
বিশ্বজিৎ দত্ত : ধনী লোকের প্রবৃদ্ধিতে বাংলাদেশ বিশ্বে এক নম্বরে রয়েছে। বাংলাদেশে ধনী লোক বৃদ্ধির হার ১৭ শতাংশ। তার পরে রয়েছে চীন, ভিয়েতনাম কেনিয়া ও পাকিস্তান। চীনে ধনী বৃদ্ধি পাচ্ছে ১৩ শতাংশ হারে আর পাকিস্তানে ৮ শতাংশ হারে। অন্যদিকে ধনীদের দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার তালিকায় বিশ্বে তৃতীয় হয়েছে ভারত। শুধু ২০১৮ সালেই ভারত ছেড়েছেন অন্তত ৫,০০০ জন ভারতীয় ধনকুবের। সারা পৃথিবীতে দেশত্যাগী ধনকুবেরদের তালিকায় এখন চীন আর রাশিয়ার পরেই ভারত। অ্যাফ্রো এশিয়া ব্যাংক এবং নিউ ওয়ার্ল্ড ওয়েল্থ-এর যৌথ উদ্যোগে ‘গেøাবাল ওয়েল্থ মাইগ্রেশন রিভিউ রিপোর্ট ২০১৯’ নামের একটি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে স¤প্রতি। সেখানেই মিলছে দলে দলে ভারতীয় ধনকুবেরদের দেশ ছাড়ার পরিসংখ্যান। এই গবেষণাপত্রে বাংলাদেশের ধনী বৃদ্ধির প্রবৃদ্ধি দেখানো হলেও ধনীদের দেশ ছাড়ার বিষয়ে কিছু বলা হয়নি। তবে বাংলাদেশে ধনী ও গরীবের মধ্যে বৈষম্য বাড়ছে বলে রিপোর্টে বলা হয়েছে। প্রায় সাড়ে ৩ কোটি লোক এখনো দারিদ্র্যসীমার নিচে রয়েছে। যাদের ব্যক্তিগত সম্পত্তির পরিমাণ এক মিলিয়ন ডলার বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৯ কোটি টাকা, তাদেরকেই রাখা হয়েছে বিত্তশালী বা ধনকুবেরদের তালিকায়। সারা পৃথিবীতে এই ধরনের বিত্তশালীদের সংখ্যা প্রায় দেড় কোটি। তার মধ্যে ভারতীয়দের সংখ্যাই হল তিন লক্ষ ২৭ হাজার। বিত্তশালীদের সংখ্যার নিরিখে এখন নয় নম্বরে আছে ভারত।
ভারতে বিত্তশালীদের সংখ্যা বাড়লেও বাড়ছে দেশত্যাগী ধনকুবেরদের সংখ্যাও। সদ্যপ্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, শুধু ২০১৮ সালেই দেশ ছেড়েছেন অন্তত ৫,০০০ জন ভারতীয় ধনকুবের। দেশ ছাড়া ধনকুবেরদের তালিকায় এখন চীন আর রাশিয়ার পরেই ভারত। নিরাপত্তাহীনতার জন্যই তারা দেশে থাকা আর ঠিক বলে মনে করছেন না, এমনটাই বলা হয়েছে রিপোর্টটিতে।
ভারতের মোট উৎপাদন বাড়তে থাকলেও একই সঙ্গে বাড়ছে ধনী-দরিদ্র বৈষম্য। অর্থাৎ বিত্তশালীদের সংখ্যা বাড়লেও আরও গরিব হচ্ছেন অর্থনীতির নীচের তলায় থাকা মানুষজন। সদ্যপ্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারতের ৪৮ শতাংশ সম্পত্তিই সাড়ে তিন লক্ষ মানুষের হাতে। বাকি ৫২ শতাংশ সম্পত্তি আছে প্রায় ১৩০ কোটি মানুষের হাতে। তাই বিত্তশালীরা দেশ ছাড়লে সেই সম্পত্তিও দেশ ছাড়ার আশঙ্কা থেকে যায়। দেশের অর্থনীতি ও সমাজকে নিরাপদ করার মাধ্যমেই বিত্তশালীদের দেশ ছাড়ার সংখ্যা কমানো যেতে পারে বলে বলা হয়েছে গবেষণাপত্রটিতে।
যদিও ভারতীয় অর্থনীতির জন্য আশার কথাও আছে এই রিপোর্টে। সেখানে বলা হয়েছে, ভারতে এখনও যত ধনকুবের দেশ ছাড়ছেন, তার থেকে বেশি সংখ্যায় ধনকুবের তৈরিও করছে এই দেশ। তাই স্থায়িত্ব এবং নিরাপত্তা ফিরলে ফের দেশে থেকেই সম্পদের পরিমাণ বাড়াতে পারবেন তারা। সম্পাদনা : ওমর ফারুক