অত্যাধুনিক পদ্ধতিতে বিজিএমইএ ভবন ভাঙ্গা হবে
সুজিৎ নন্দী : অত্যাধুনিক পদ্ধতিতে বিজিএমইএ ভবন ভাঙ্গা হবে। ক্ষেত্র বিশেষে নিয়ন্ত্রিত বিস্ফোরণ পদ্ধতিতে ভাঙ্গা হতে পারে। তবে ভাঙ্গার সময় আশপাশের ভবনগুলো যাতে ক্ষতিগ্রস্থ না হয় সেদিকে বিশেষভাবে নজর রাখা হবে। সয়েল টেস্টের পর ভাঙার কাজ শুরু করা হবে। আগামী সপ্তাহে চীনা বিশেষজ্ঞ দলকে আসার আহ্বান জানানো হবে। ইতিপূর্বে র্যাংগস ভবন ভাঙ্গার সময়ও কন্ট্রোলড ডিমোলিশন বা নিয়ন্ত্রিত বিস্ফোরণ পদ্ধতিতে ভাঙ্গার পরিকল্পনা ছিলো। কিন্তু আশপাশের ভবন ও সার্বিক অবস্থার কারণে চট্টগ্রামের ইউসুফ কোম্পানির মাধ্যমে সনাতন পদ্ধতিতে ভাঙ্গা হয়। রাজউকের একাধিক সূত্রে এতথ্য জানায়।
রাজউকের চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান বলেন, আমরা অত্যাধুনিক পদ্ধতিতে বিজিএমইএ ভবন ভাঙার কাজ শেষ করবো। তবে অবশ্যই ভাঙার সময় ২০ মিটারেরও বেশি ব্যাসার্ধের প্রাচীর দিয়ে ভাঙার কাজ করা হবে। তবে হোটেল সোনারগাঁও, কারওয়ান বাজার ও আশাপাশের সুউচ্চ ভবনের কোন প্রকার ক্ষতির ঝুঁকি থাকবে না।
ইতিমধ্যে ভবন ভাঙার জন্য কোটেশন পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। দরপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে যে প্রতিষ্ঠান বিজিএমইএ ভবন ভাঙতে আগ্রহী তাদের বহুতল ভবন ভাঙার অভিজ্ঞতার কাগজপত্র দাখিল করতে হবে। তিনমাসের মধ্যে ভবন ভাঙার কাজ শেষ করতে হবে এবং সর্বোচ্চ সতর্কতা সাথে কাজ করতে হবে। ভবন ভাঙার জন্য আলাদাভাবে কোন অর্থ প্রদান করা হবে না। যারা ভাঙবে তারা মালামাল কেনার দরপত্র দাখিল করতে পারবে।
রাজউকের পরিচালক (প্রশাসন) খন্দকার অলিউর রহমান জানান, মালামাল ক্রয়ের বিষয়ে যারা সর্বোচ্চ মূল্য দেবেন তাদের প্রস্তাব গ্রহণ করা হবে। ভবন ভাঙার সময় কেউ আঘাত প্রাপ্ত হলে অথবা মারা গেলে রাজউক দায়ী থাকবে না।
সংশ্লিষ্ট তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী জানান, ইতিপূর্বে র্যাংগস ভবন অপসারণ করতে গিয়ে বেশকিছু সমস্যা হয়েছে। আমরা চাই সেরকম ঘটনা যাতে আর না ঘটে। এজন্য যতো ধরনের সতর্কতা আছে তা অনুসরণ করা হবে। সম্পাদনা : রেজাউল আহসান