ব্যক্তিগত সচেতনতা ছাড়া অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধ সম্ভব নয়, বললেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী
স্বপ্না চক্রবর্তী : ব্যক্তিগত সচেতনতা ছাড়া অসংক্রামক রোগ কোনোভাবেই প্রতিরোধ করা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান। তিনি বলেন, তাই আমাদের পরিবার থেকে এই রোগ প্রতিরোধে সচেতনতা তৈরি করতে হবে। গতকাল বুধবার ‘এনসিডি চ্যালেঞ্জ হেলথ ইন অল পলিসি হোল সোসাইটি এ্যাপ্রোচ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় একথা বলেন তিনি। স্বাস্থ্য অধিদফতর ও ভোরের কাগজ জাতীয় স্বাস্থ্য সপ্তাহ উপলক্ষে এই আলোচনা সভার আয়োজন করেছে।
এসময় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদেরকে সচেতন হতে হবে। এই সচেতনতার মধ্য দিয়ে জীবনযাপন, চলার পদ্ধতি, সামাজিক চেতনা, ধর্মীয় চেতনাবোধ, সংস্কৃতি মেনে চলা, উশৃঙ্খল জীবন যাপন না করে সুশৃংঙ্খল জীবন যাপন করা, আমাদের কু-অভ্যাসগুলো থেকে দূরে থাকা, বেশি আধুনিকায়নের কারণে যে জাংকফুড খাওয়ার প্রবণতা তা থেকে দূরে থাকা এগুলো করতে হবে। তিনি বলেন, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, সিওপিডি, ক্যান্সার, মানসিক স্বাস্থ্য (নন কমিউনিকেবল ডিজিজ- সিওপিডি) এই রোগগুলো নিয়ে আমাদের কাজ করতে হবে। এই রোগটা কেন হচ্ছে তা আমাদের বুঝতে হবে। আমরা হাঁটাচলা করতে চাইনা, জাংক ফুড খাই। এগুলো আমাদের প্রতিরোধ করতে হবে তা না হলে হাসপাতাল আমরা কতগুলি করব? তিনি বলেন, আমাদের স্কুলের অনুমোদনই দেয়া উচিত না যেখানে খেলার মাঠ থাকবে না।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত পরিচালক এ এইচ এম এনায়েত হোসেন বলেন, বিশ্বে যে মোট দশটি কারণ রয়েছে তার মধ্যে সাতটিই নন কমিউনিকেবল ডিজিজ (এনসিডি)’র কারণে হচ্ছে। ২০১২ সালে এই মৃত্যুর হার ছিল ৫২ ভাগ, ২০১৪ সালে ৫৯ ভাগ এবং ২০১৭ সালে এসে দাঁড়িয়েছে ৬৭ ভাগ। এনসিডি’র রোগগুলোর মধ্যে হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, ক্যানসার, সিওপিডি ও মানসিক স্বাস্থ্য পরিস্থিতির জন্য তামাক, এলকোহল, অস্বাস্থ্যকর খাবার, বায়ু দুষণ ও শারীরিক নিস্ক্রিয়তা দায়ি।
সভা সঞ্চালনা করেন ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত। এসময় বিভিন্ন হাসপাতালের পরিচালক, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, পুষ্টিবিদ, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বরা বক্তব্য রাখেন। সম্পাদনা : আনিস রহমান