ঘুম নিয়ে স্বাস্থ্যের জন্যে ক্ষতিকর ধারণায় ভোগেন বিশ্বের অধিকাংশ মানুষ, বলছে গবেষণা
লিহান লিমা : বিশ্বের বেশিরভাগ মানুষ ঘুম নিয়ে ভুলভাল ধারণায় ভোগেন যা কিনা স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। যারা বলেন, যে দিনে ৫ ঘণ্টা ঘুমিয়েও তাঁরা চালিয়ে দিতে পারেন তাঁরা নিজেদের স্বাস্থ্যসম্পর্কিত ঝুঁকির মধ্যে নিয়ে যাচ্ছেন এবং দীর্ঘমেয়াদে তাঁদের ঘুমের নানা অসুখ দেখা যাবে। ‘স্লিপ হেলথ’ জার্নালে প্রকাশিত গবেষণাপত্রে এই তথ্য জানানো হয়। সিএনএন, পপুলার সায়েন্স
গবেষণার জন্য গবেষকরা ঘুম সম্পর্কিত ২০ টি সাধারণ ধারণা সনাক্ত করতে ৮ হাজারেরও বেশি ওয়েবসাইট পর্যালোচনা করেন। গবেষণার নেতৃত্ব দেয়া রেবেকা রবিনস বলেন, ভালো ঘুমের সঙ্গে সফলতার ব্যাপক যোগসূত্র রয়েছে। রবিনস এবং তাঁর সহকর্মীরা ঘুমের সময়সূচী তৈরি করে জানিয়েছেন কমপক্ষে সাত ঘন্টার ঘুম আমাদের জীবনে আবশ্যিক। তারা আরো বলেন, ঘুম নিয়ে বিশ্বের বেশিভাগ মানুষ মিথে ভোগে।
প্রথমত, প্রচলিত রয়েছে প্রাপ্তবয়স্কদের ৫ ঘণ্টা কিংবা তা চেয়ে কিছু কম ঘুমই যথেষ্ঠ। কিন্তু এই পরিমাণ ঘুম হৃদরোগ ও অকাল মৃত্যুর কারণ। এছাড়া উচ্চ রক্তচাপ, রোগ প্রতিরোধক ব্যবস্থাপনা হ্রাস, কর্মোদ্যম হ্রাস, ওজন বৃদ্ধি, মেজাজের পরিবর্তন, বিষন্নতা, ডায়াবেটিসের উচ্চঝুঁকি, স্ট্রোক, ডিমনেশিয়া, মস্তিস্কবিকৃতি ও কিছু ক্যান্সারের জন্য দায়ী ৫ ঘণ্টা কিংবা তার চেয়ে কম ঘুম। দ্বিতীয়ত, ধারণা করা হয়, যে কোন স্থানে যে কোন সময়ে ঘুমিয়ে পড়া ভালো অভ্যাস। ঘুম বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর মানে আপনার ঘুম পরিপূর্ণ হচ্ছে না ও আপনি ‘মাইক্রোস্লিপ’ ও ‘মিনিস্লিপ’ এ ভুগছেন। চতুর্থত, নাক ডাকা ঘুম একটা সমস্যা নয়। কিন্তু গবেষকরা বলেন, এটি স্লিপ অ্যাপনিয়ার লক্ষ্মণ হতে পারে, এটি একটি গুরুতর ঘুমের অসুখ। নাক ডাকার সমস্যার সঙ্গে হার্টের রোগ এবং অন্যান্য অসুস্থতা জড়িত।
এহযস ছাড়াও কম ঘুমের অভ্যাসের সঙ্গে মস্তিস্ক ও শরীর মানিয়ে নেয়, ঘুমের আগে মদ্যপান ঘুমের জন্য সহায়ক, ঘুম আসছে না, চোখ বন্ধ করে বিছানায় শুয়ে চেষ্টা করতে থাকুন, দিনের কোন একটা সময়ে ঘুমিয়ে পড়াটা কোন বিষয় নয়, বিছানায় শুয়ে টিভি দেখলে রিলাক্স হয়, স্বপ্ন মনে রাখা ভালো ঘুমের লক্ষণ, অনেক ঘুম সবসময়ই ভালো, শীতল রুমের চেয়ে উষ্ণ রুম ভালো ইত্যাদি নানা মিথ রয়েছে, যা কিনা শতভাগ মিথ্যে ও পুরোপুরিই উল্টো।